'গণমাধ্যমের ওপর নতুন করে সেন্সরশিপ আরোপ করা হচ্ছে' বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার এমন অভিযোগ নাকচ করে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, টেলিভিশনগুলোকে ‘নেতিবাচক সংবাদ প্রচারে’ বিরত থাকতে বলা কোনোভাবেই ‘সেন্সরশিপ’ নয়।
আজ শুক্রবার কুষ্টিয়ায় নিজের বাসায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে নেতিবাচক খবর প্রচার করা হয় না। এটা চাপিয়ে দেওয়া নয়, এটা সমাজের প্রতি নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে করা। নেতিবাচক সংবাদ সম্প্রচার করলে সন্ত্রাসীরা উৎসাহিত বোধ করবে।”
বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে টেলিভিশন স্টেশনের মালিক ও প্রতিনিধিদের ডেকে ‘সহিংসতা ও নাশকতা উসকে দেওয়ার’ মতো খবর প্রকাশ না করার পরামর্শ দেয় সরকার। এদিন মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠকে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক দাবি করে মানুষের সামনে ঘটনার সঠিক তথ্য তুলে ধরতে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ‘সহযোগিতা’ চাওয়া হয়।
এরই প্রতিক্রিয়ায় রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়া সরকারের এই ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বরেছেন মিডিয়ার ওপর নতুন করে সেন্সরশিপ আরোপ করা হচ্ছে, যাতে জনগণ প্রকৃত ঘটনা জানতে না পারে।
এর জবাবে হানিফ বলেন, “সন্ত্রাসীরা যাতে উৎসাহিত না হয় সেজন্য নেতিবাচক খবর প্রচার করবে না বলে কথা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এটা সেন্সরশিপ হল কীভাবে, কোনো সেন্সরশিপ নেই।”
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ‘জ্ঞানের ঘাটতি’ রয়েছে মন্তব্য করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “উনাকে কেউ মিথ্যা বুঝিয়ে এসব কথাবার্তা বলাচ্ছেন।”
গত ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধের মধ্যে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা আবারও নাকচ করেন হানিফ।
তিনি বলেন, “যারা পেট্রোল বোমা মেরে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করছে এরা সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য কোনো সন্ত্রাসীর সাথে আলোচনার সুযোগ নেই বা যৌক্তিকতা নেই।
এসময় অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কেন্দ্রীয় সহ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, কুষ্টিয়া সদর থানার ওসি আব্দুল খালেকসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব