প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে আওয়ামী লীগ সরকারের যে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেসব পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শৃঙ্খলা ও পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে সর্বত্র প্রশংসিত হতে পারে এবং দেশের প্রতিরক্ষা ও দেশ গড়ার কাজে অবদান রেখে গৌরব বৃদ্ধি করতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করতেও নির্দেশনা দেন তিনি।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সেনাকুঞ্জে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি অন্ততপক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগ ভুলতে পারি না। আমি তাদের জন্য যা কিছু করার করব। আল্লাহ যেন আমাকে সেই তৌফিক দান করেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করে তখনই জনগণ কিছু পায়। এদেশের মানুষের উন্নতি হয়। বর্তমানে দেশে দারিদ্রের হার কমেছে। কমেছে হতদরিদ্রের হারও। অন্যদিকে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষের গড় আয়ু এখন ৭০ দশমিক ৭-এ উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রর রিজার্ভ ছয়গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে আগের চেয়ে। এছাড়া বার্ষিক বাটেজের ৯০ শতাংশই আমরা নিজেরাই ব্যবস্থা করছি।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেট সার্ভিস দিয়েছি। দেশে এখন ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র গড়ে তুলেছি, যাতে সাধারণ মানুষ হাতের কাছেই সুস্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ১২৩ ভাগ বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সবার যাতে উন্নতি ঘটে সরকার সে বিষয়টি দেখছে। আমরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত ও শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ (এএফডি) চত্বরে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এএফডি’র প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মইনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌপ্রধান ভাইস এ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এশরার এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/২০ নভেম্বর, ২০০৫/মাহবুব