পঞ্চগড়ে ৩৬টি বিলুপ্ত ছিটমহলের মধ্যে ৫টি ছিটমহল থেকে প্রথম দফায় ভারতে চলে গেলেন ১৩টি পরিবারের ৪৮ জন। রবিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরের চেকিং ও লোডিং পয়েন্ট থেকে ২টি বাস ও ৩টি ট্রাকে মালামালসহ তারা ভারতের উদ্দেশে রওনা দেন।
পঞ্চগড় জেলার সদর ও বোদা উপজেলার সদ্য বিলুপ্ত ৫টি ছিটমহল থেকে ১৫ পরিবারের ৫৫ জন নতুন ভারতীয় নাগরিকের ভারতে যাওয়ার কথা থাকলেও নাজিরগঞ্জ ছিটমহলের একটি পরিবারের চারজন তাদের মত পাল্টে নতুন করে বাংলাদেশেই থেকে যাওয়ার আবেদন করেছেন। অপর একটি পরিবারের ৩ জন তাদের জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আগামী ২৬ নভেম্বর ভারতে যাবেন বলে জেলা প্রশাসন জানায়।
একইভাবে ২৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত ৩টি ছিটমহলের ৩১টি পরিবারের ১৭৭ জন, ২৪ নভেম্বর দেবীগঞ্জ উপজেলার ১টি ছিটমহলের ২৯টি পরিবারের ১৪৯ জন এবং ২৬ নভেম্বর দেবীগঞ্জ উপজেলার ও বোদা উপজেলার ২টি ছিটমহলের ২৩টি পরিবারে ১০৮ জন ভারতীয় নাগরিক একই পথে ভারতে যাবেন।
আজ ভারত রওনা হওয়া ৪৮ জনকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বিদায় জানান পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম আযম।
পরে জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যানবাহন, মালামালসহ তাদের নিয়ে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া বিজিবি বিওপির পথে রওনা দেন।
ডাঙ্গাপাড়া বিওপির বিজিবি নতুন ভারতীয়দের ভারতের খালপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প ও কোচবিহার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করেন।
নতুন ভারতীয়দের গ্রহণ করতে ভারতের কোচবিহার প্রশাসন চিলাহাটি-হলদিবাড়ী সীমান্তে ভারতের খালপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প ও বাংলাদেশের ডাঙ্গাপাড়া বিজিবি ক্যাম্প এলাকার নোম্যান্স ল্যান্ডে ১৫০ গজের একটি নতুন রাস্তা তৈরি করে।
এছাড়াও ভারতীয় বিএসফ তাদের সীমানার অভ্যন্তরে একটি তোরণ ও মঞ্চ তৈরি করে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ নভেম্বর ২০১৫/এস আহমেদ