আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার প্রক্রিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে পুনরায় ওই সংশোধনী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হবে, যাতে এটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা যায়। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ একাদশ সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের (নেত্রকোনা-৫) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, যুদ্ধাপরাধীর দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, থাকলে তা কী?
লিখিত জবাবে আনিসুল হক বলেন, ১৯৯৮ সালে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বিএনপি চারদলীয় জোট গঠন করে। যে জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে রাজনৈতিকভাবে দৃঢ় ও প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের বাড়ি এবং গাড়িতে চারদলীয় জোট জাতীয় পতাকা উড়ায়। কিন্তু বর্তমান সরকার সবসময়ই আইনের শাসনে বিশ্বাসী। এ সরকারই বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে এ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। এ দেশের মাটিতেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের একাধিক মামলার রায়ে আদালত জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল মর্মে উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার