যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান, বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা অস্বীকার করবে, তারা বাংলাদেশকেই অস্বীকার করে। বঙ্গবন্ধুকে যারা শ্রদ্ধ করে না, তারা দেশের মানুষকেও শ্রদ্ধা করে না। তারা মুক্তি সংগ্রামকেও শ্রদ্ধা করে না। বঙ্গবন্ধু বিরুদ্ধবাদীদের প্রতি কখনো ঘৃণা প্রকাশ করতেন না। আমরাও মনে করি ঘৃণা করে কেউ বড় হবে না। শ্রদ্ধা করে কেউ ছোট হয় না। বিকল্পধারার এটা একটা নীতি।
মঙ্গলবার রাজধানীর বাড্ডায় বিকল্পধারা কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিকল্পধারা বাংলাদেশ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সচিব শমসের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এমপি, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সরোয়ার মিলন, মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, ড. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয় জনতা লীগের চেয়ারম্যান ওসমান গণি বেলাল, জনদলের মহাসচিব সেলিম আহমেদ, বিকল্প ধারার সহ সভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, এনায়েত কবীর, যুবধারার কেন্দ্রয়ি সভাপতি আসাদুজ্জামন বাচ্চু প্রমুখ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বি চৌধুরী আরও বলেন, ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু একটা চূড়ান্ত বাস্তবতা। এই বঙ্গন্ধুকে যারা অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে, বাংলাদেশের মানচিত্রকে অস্বীকার করে। তিনি বলেন, পৃথিবীর যেখানে যখন মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্ন উঠবে, স্বাধীনতার প্রশ্ন উঠবে, গণতন্ত্রের প্রশ্ন উঠবে- বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ না করে কেউ পারবে না। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে তাদের প্রেরণা নিতে হবে। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েও তিনি স্বাধীনতার দাবি থেকে পিছু হটেননি। সারা পৃথিবীতে এমন দৃষ্টান্ত খুব বিরল। তিনি আরো বলেন, সাত মার্চের ভাষণ পৃথিবীর ইতিহাসে অমূল্য সম্পদ। ভাষণটি অসাধারণ। এটা ইউনেস্কোও স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশের মানুষের জন্য তার ভালোবাসা ছিল সীমাহীন। এটা অস্বীকার করা যাবে না।
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম মানে মানচিত্রের প্রতি যেমন ভালোবাসা, মানুষের প্রতিও তেমনি ভালোবাসা। এটা অনেক রাজনীতিবিদ বোঝে না। বঙ্গবন্ধু এটা অন্তর দিয়ে উপলদ্ধি করতেন। দেশের মানুষকে এবং দেশকে সমার্থকভাবে তিনি ভালোবেসেছেন। তার সবচেয়ে বড় সাহস দেশপ্রেমের মধ্যে মানুষকে ভালোবাসার মধ্যে। তার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সেটাই। এই অসাধারণ দেশপ্রেমিক মানুষটি বাংলাদেশের মানুষের মনে চির জাগরুক হয়ে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বঙ্গন্ধুর আদর্শ থেকে এক পাও পিছু না হটার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার মধ্যে অনেকগুণ আছে, যেটা বঙ্গবন্ধুর সাথে মিলে যায়। আমরা আশা করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে আপনি প্রেরণা পাবেন। তিনি বলেন, শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নই শেষ কথা নয়, দেশের দরিদ্র মানুষ যেন সুখ থাকতে পারে; শান্তিতে থাকতে পারে; আপনাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। হ্যাপিনেস ইনডেক্সে যেন বাংলাদেশ উত্তীর্ণ হতে পারে, শান্তি সুখের দেশে পরিণত হতে পারে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব