এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি।
মঙ্গলবার ধানমন্ডির কেয়ারী প্লাজার সামনে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ধানমন্ডি থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাবিরুল হায়দার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন সৈকত, ধানমন্ডি থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু কায়সার, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। করোনা প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি জনগণকে সচেতন করছে। আমিও প্রার্থী হিসেবে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছি। যে পর্যায়ে করোনা পরিস্থিতি আছে তাতে নির্বাচন পিছানো বা স্থগিত করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।
নির্বাচন কমিশন যদি নির্বাচন স্থগিত করে সেটা কি আপনি কিভাবে দেখবেন? জবাবে তিনি বলেন, ইসি যদি নির্বাচন স্থগিত করে তাহলে জনগণ আহত হবে। নির্বাচনের তিন দিন বাকি। এরমধ্যে যদি করোনায় জনজীবন ঝুঁকিতে চলে যায়।
জীবনের চেয়ে কোন কিছু বড় নয়, তখন সে পর্যায়ে দেখা যেতে পারে। স্কুল-কলেজের ব্যাপার আর নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ভিন্ন রয়েছে। ১০-১৫ দিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে না গেলে সমস্যা হবে না। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করে শপথ নিতে হবে।
ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে আপনার কোন সংখ্যা আছে কিনা? জবাবে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, আশঙ্কা পুরো ভোট ব্যবস্থার উপরে আছে। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে জনগণের আশঙ্কা রয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি আছে। আমরা বারবার বলে আসছি এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না হবেও না। এখন মানুষ সেটা দেখছে, মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ ভোটবিমুখ হয়েছে। অতএব জনগণের অনাস্থা রয়েছে।
তিনি বলেন, দল হিসেবে আমাদের অনাস্থা রয়েছে। তবে আমরা আশার জায়গার শুরু করতে চাই। ভোট ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে কোন জাতি ভালো থাকেনি। গণতন্ত্র ধ্বংস করে কোন দেশের উন্নয়ন হয়নি। একদলীয় শাসনব্যবস্থা জনগণের কল্যাণ হতে পারে না। আমরা মনে করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। ইসি সাংবিধানিক দায়িত্ব¡
যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে থেকেই সূচনা হতে পারে। সত্যি হলে বিগত দিন সরকার যা করেছে মানুষ তা ক্ষমা করে দিবে। আমার দল বিএনপিও ক্ষমা করে দিতে পারে। আমিও প্রার্থী হিসেব স্বাগত জানাতে পারি। সেটি যদি না হয় সরকার ঘৃর্ণিত হবে, এরপর জনরোষের শিকার হবে।
শেখ রবিউল আলম অভিযোগ করে বলেন, ১৬, ১৮নং ওয়ার্ডে গতকাল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমার দুই কর্মীকে হামলা করে আহত করেছে। আমার দুই কর্মী শাহাবুদ্দিন মোস্তফাকে বেদম মারপিট করে এবং হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট থানাকে জানিয়েছি। তারা বলেছে, এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
এর আগে সকালে ধানমন্ডি ২৮ এর নজরুল ইন্সটিটিউটের পাশে ছাত্রদলের একটা গ্রুপ ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে গেলে সেখানে তাদের বাধা দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে ভোটার স্লিপ ছিনিয়ে নেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত