পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। কিন্তু নিয়োগ পাচ্ছিলেন না। এরপর দীর্ঘ ১২ বছর আইনি লড়াই। অবশেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেন। এক যুগের সংগ্রামে জেতা এই নারী হলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম।
আজ সোমবার হাইকোর্টের আপিল বিভাগে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের (বিউটি বেগমের নিয়োগের তথ্য) কথা লিখিতভাবে জানান তৎকালীন মহাপরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা। এরপর বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আদালত অবমাননার আবেদন নিষ্পত্তি করেন।
আজ আদালতে বিউটি বেগমের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শফিক মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
গত ৭ ডিসেম্বর আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ পাঁচজনকে তলব করেছিলেন আপিল বিভাগ। এ আদেশ অনুসারে তারা আজ হাজির হন।
ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ২০০৮ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিউটি বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হন। কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাজমা সুলতানাকে নিয়োগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। বিউটি বেগম নিয়োগ না পেয়ে গাইবান্ধার সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলার শুনানি নিয়ে আদালত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জেলা জজ ও হাইকোর্টেও এই আদেশ বহাল থাকে।
পরে এর বিরুদ্ধে আপিল করের সংশ্লিষ্টরা। পরে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ১৫ দিনের মধ্যে বিউটি বেগমকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ওই আদেশের পরেও বিউটি বেগম নিয়োগ পায়নি। তাই তিনি আদালত অবমাননার আবেদন করেন। পরে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ২ মার্চ আদালত অবমাননার রুল জারি করেন আদালত। কিন্তু এ রুলের জবাব দেননি বিবাদীরা। ফলে আপিল বিভাগ বিবাদীদের তলব করেছিলেন। তাই আজ সোমবার তারা হাজির হয়ে বিউটি বেগমের নিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ