১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:১০

শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তায় বৃহত্তর প্রস্তুতির আহ্বান বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক

শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তায় বৃহত্তর প্রস্তুতির আহ্বান বাংলাদেশের

রাবাব ফাতিমা। ফাইল ছবি

‌‘শীর্ষস্থানীয় সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’  

সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিশেষ কমিটির (সি-৩৪)’ সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তথ্য অধিদফতরের এক তথ্যবিবরণীতে এই বক্তব্যের কথা জানানো হয়েছে।

কোভিড-১৯ এর মধ্যেও যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন ও স্বাগতিক দেশের করোনা মহামারি মোকাবিলা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। শান্তিরক্ষা ব্যবস্থাপনায় ‘জরুরি প্রস্তুতি’ অত্যাবশ্যক করাসহ শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। শান্তিরক্ষীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি ক্রমবর্ধমান বহুমাত্রিক ও বহুমুখী হুমকির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ‘এহেন পরিস্থিতিতে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই। ‘অ্যাকশন ফর পিসকিপিং এজেন্ডাসহ (এফরপি) জাতিসংঘ গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমগুলোর ধারাবাহিকতার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। 

শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলার নিন্দা এবং এসব হামলার জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। পারদর্শিতা প্রশ্নে প্রয়োজনীয় জনবল ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামসহ কাজ করার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, মাঠ পর্যায়ে টেকসই শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে শান্তি প্রক্রিয়াকে অবশ্যই সুস্পষ্ট রাজনৈতিক সমাধানের পথে পরিচালিত করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি শান্তিরক্ষা মিশনসমূহের সাথে শান্তিবিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত সকল পক্ষের আরো সমন্বয়, সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের ওপর জোর দেন।

তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বিনির্মাণের মাধ্যমে শান্তিরক্ষায় নারী ভূমিকার বৈচিত্র বৃদ্ধি এবং তাদের কর্ম-উপযোগী পরিবেশ সৃস্টিরও আহ্বান জানান তিনি। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর