করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের ফুল সেট, অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নতমানের কাপড়ের মাস্ক, উন্নতমানের সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

আজ দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কার্যক্রমের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

যেসব হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয় সেগুলো হচ্ছে মাগুড়া জেনারেল হাসপাতাল, গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, ফেনী জেনারেল হাসপাতাল, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজশাহীর পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেন্টার, ধনবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নড়াইল জেনারেল হাসপাতাল। এছাড়াও ঢাকাবাসী, ঘোড়ার গাড়ী চালক, কাসিদা গায়ক, ঢোল বাদক, ডিঙ্গি নৌকা চালক, পুরনো ঢাকার ব্যান্ড পার্টি বাদক, পুরনো ঢাকার নাট্যকর্মী, জুতা সেলাই কারিগর, বীণা বাদক, কাওয়ালী গায়ক, ১৪ দল, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, আওয়ামী বাস্তুহারা লীগকে পোলার চাল, মুগ ডাল, চিনি, লাচ্ছা সেমাই, চিকন সেমাই, গুড়া দুধ বিতরণ করা হয়। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষকে করোনায়  সচেতন হতে সারাদেশে দলীয় নেতাকর্মীদের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি ঈদ উৎসব যাতে অন্তিম উৎসবে পরিণত না হয় সেদিকেও সবাইকে খেয়াল রাখতে অনুরোধ করেন। হাসপাতালে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী ও পিছিয়ে পড়া ব্যক্তিদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ করায় উপকমিটিকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক, আমরা যদি সচেতন হই, তাহলে রক্ষা পাবো। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুর্গত মানুষের পাশে আছেন। দেশের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই, কারণ যতই দুর্যোগ-দুর্বিপাক হোক, জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের পাশে রয়েছে। 

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, করোনার টিকা নিয়ে একটি পক্ষ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকল্প পদ্ধতিতে করোনা টিকা নিয়ে আসবেন। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তিনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, গত বছর বর্ষায় আমন ধান সংগ্রহ কম হলেও খাদ্যের সংকট হয়নি। চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় অধিকাংশ ধান কাটা হয়েছে। বাকী ধান কাটা হলে দেশের খাদ্য সংকট হবে না।   

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবন এবং জীবিকাকে সমন্বয় করে করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি বরাবরের মতোই শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ  অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বিতরণসহ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ করা এবং কর্মহীন হয়ে পরা অসহায় মানুষের মাঝে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কর্মসুচি অব্যাহত রেখেছে। আমরা মানবতার পাশে আছি, থাকবো।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন