করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিতে দেশীয়-আন্তর্জাতিক সব ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনার সেকেন্ড ওয়েবের কারণে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা যখন মারাত্মকভাবে থমকে দাঁড়াচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা দেশীয়-আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি চক্র বিভিন্নভাবে নানান উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে ধর্মীয় অঙ্গনও বিশৃঙ্খল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এ গোষ্ঠিটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আল্লামা আহমদ শফির ইন্তেকালের পর হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক উগ্রবাদীর অনুসারী, ক্ষমতা লোভী একদল আলেম নামধারী কুচক্রীদের হাতে চলে যায়। সে লোকগুলোর সঙ্গে জামাত-শিবির ও তাদের মিত্রদের গোপন শলা-পরামর্শের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে কুক্ষিগত করে, তাদের সামনে রেখে হেফাজতের ব্যানারে জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট, হত্যা, বিরোধীদের বাড়িঘরে আগুন, শিল্প সংস্কৃতির ভিত্তি ধ্বংসের মাধ্যমে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে সরকার পতনের লক্ষে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছিল।
এসময় হেফাজতে ইসলামের বিদেশী অর্থ সংগ্রহকারী যোগানদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মামুনুল হকের সম্পৃক্ততা থাকলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানান তিনি।
পাশাপাশি আবাসিক হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়াসহ করোনা মহামারিতে গরীব কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের অনুদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির সঙ্গে সরকারি কোনো কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত