দীর্ঘদিনের অন্যায়, বৈষম্য ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
তিনি বলেন, সবাই শান্তির জন্য সংগ্রাম করে যায়। কিন্তু অনেক সময় সেই শান্তির জন্য আমাদের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। তাই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যায়, জবাবদিহিতা, ত্যাগ, সমতা ও মানবিকতার ভিত্তি মজবুত তরতে হবে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য হাঙ্গার প্রোজেক্ট বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘জাতীয় শান্তি সহায়ক সম্মেলন' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শান্তিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে পরিবার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম এমনকি ব্যক্তি পর্যায়েও সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা কেবল নীতিগত বা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়, এটি মানুষের মনন, মূল্যবোধ ও আচরণের ওপর নির্ভরশীল।
ফারুক ই আজম বলেন, সমাজে স্থিতিশীলতা, বোঝাপড়া এবং মানবিকতার ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করতে হবে। ব্যক্তি ও সমাজের ভেতরে শান্তির মানসিকতা ও প্রবণতা বাড়াতে হবে। সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সহজ হবে বলেও জানান তিনি।
রাজশাহীর পবা উপজেলার পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ’র পিস অ্যাম্বাসেডর শেখ মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন এর সম্পাদক ডা. বদিউল আলম মজুমদার, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. দাউদ মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ব্রিটিশ হাইকমিশনার হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর এবং গভানেন্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল টিম এর প্রধান টিমোথি ডাকেট বক্তৃতা করেন।
বিডি প্রতিদিন/কামাল