মালিকের বাড়িতে দাওয়াতের কথা বলে ডেকে নিয়ে নরসিংদীতে বরফকলের শ্রমিক আইয়ুব মিয়াকে (২৮) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালত ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে খালাস ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির মধ্যে বৌয়াকুড় মহল্লার সাদ্দাম হোসেন ও চাঁদপুরের মতলব উপজেলার আম্মাকান্দা গ্রামের এরশাদ মিয়া ও বিমল খালাস পেয়েছেন।
আর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামনাথপুর দক্ষিণপাড়ার সুজন ওরফে বাঘা সুজন, নরসিংদী পৌর শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়া মহল্লার সোহাগ চন্দ্র দাস ও সমীর চন্দ্র দাসকে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ জাগো গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর নরসিংদীতে বরফকলের শ্রমিক আইয়ুব মিয়া হত্যা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে অপর এক ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের প্রত্যেককে তিন বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০১৭ সালে হাইকোর্টে আসে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। ডেথ রেফারেন্সের ওপর আজ শুনানি শেষে রায় দেন আদালত।
বিডি প্রতিদিন/এএ