কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত, প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায় ১৪ দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের কাছে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে তারা গভীরভাবে মর্মামত হওয়ার পাশাপাশি উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। একইসঙ্গে দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলো সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে চলমান সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজতে এবং নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা এড়ানোর ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়েছে।
গত ২৪ জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যৌথ চিঠিটি পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) দূতাবাস।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে লেখা এ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি, বিশেষ করে বিক্ষোভকারী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হতাহত হওয়া এবং সহিংসতা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনায় তারা গভীরভাবে মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন।
চলমান সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে ও নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে অব্যাহত প্রয়াসে বাংলাদেশের সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে তারা উৎসাহ দিয়ে যাবে। এ লক্ষ্য অর্জনে ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের সংলাপকে তারা স্বাগত জানিয়েছে।
মিশনপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের জবাবদিহি নিশ্চিতের যে ইঙ্গিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়েছেন, তারা এর প্রশংসা করেছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত কয়েক দিনে আটক ব্যক্তিদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। তেমনি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকারসহ মানবাধিকার সমুন্নত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ।
গত ২১ জুলাই কোটা আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতি বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত