ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ আয়োজিত "যুদ্ধাপরাধী বিচারে প্রবাসী বাঙালিদের ভুমিকা ও ভবিষ্যৎ করণীয়" শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মুখ্য আলোচক ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, গণ হত্যাকারী আল্ বদর নেতাদের সর্বনিম্ন শাস্তি হতে হবে মৃত্যুদণ্ড। ১৯৭১ সালে আলবদর রাজাকার বাংলাদেশে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রত্যক্ষভাবে সহয়তা করেছিল বাংলাদেশের আলবদর রাজাকার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আছে বলেই আজ যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ ৪৪ বছর পর বিচার ও রায় কার্যকর হলে এতদিনে যুদ্ধাপরাধী ও দোসররা অর্থনৈতিকভাবে শক্ত ভিত গড়েছে। তাই অর্থের বিনিময়ে প্রবাসে বিভিন্ন লবিস্ট নিযোগ বিচার সম্পর্কে মিথ্যা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
প্রবাসের প্রগতিশীল সকল প্রবাসী বাঙালিকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন শাহরিয়ার কবির। তিনি ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার জন্য যথাযথ তথ্য সংবলিত প্রচার ও উদ্বুদ্ধ করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রবাসে থাকলেও বাংলাদেশের ভালমন্দের মতামত দেওয়া এবং সেই বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা সবাইকে নিতে হবে। প্রত্যক্ষ রাজনীতি কেউ না করলে ও প্রত্যেকে রাজনীতি সচেতন হওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেন। শেষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। যুদ্ধাপরাধীর বিচার কার্যকর করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ আলী মোল্লা লিঙ্কনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা করেন তাইফুর রহমান ভুইয়া, আ ন ম আরিফ খালেক, সাব্বির আহমেদ, মানজুর আহমেদ লিমন, মোতালেব ভুইয়া, হিল্লোল বড়ুয়া, কাওসার সুমন, আমির হোসেন, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ ইউসুফ, ইফতেখার সম্রাট।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা