স্ত্রী-সন্তানসহ যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ (৪৩)। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির এই নেতা স্ত্রী-সন্তানসহ ট্যুরিস্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান ২০১৩ সালে। পরের বছরই তিনি অ্যাসাইলাম প্রার্থণা করেন।
ইউএস সুপ্রিমকোর্টের খ্যাতনামা অ্যাটর্নি ও ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী ফেডারেল কোর্টে এই আবেদন করেছিলেন তিনি। ২৮ নভেম্বর নিউইয়র্কে ফেডারেল কোর্টে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার যুক্তি-তর্কের পর জজ ওবায়দুল্লাহ অ্যাসাইলাম মঞ্জুর করেন।
এ তথ্য জানিয়ে অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী ৭ ডিসেম্বর এ সংবাদদাতাকে বলেন, দেশে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কর্তৃক প্রাণনাশের মারাত্মক হুমকি রয়েছে বলে সন্দেহাতীতভাবে তিনি প্রমাণে সক্ষম হওয়ায় মাস্টার হিয়ারিংয়ের পরই ছেলে ও স্ত্রীসহ তার অ্যাসাইলাম মঞ্জুর হলো।
অ্যাটর্নি মঈন উল্লেখ করেন, ওবায়দুল্লাহ নিজের দুর্দশার কথা এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে, আদালত তা সহজেই বিশ্বাস করেছেন। ওবায়দুল্লাহর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই কিংবা তাকে গ্রেফতারের মুখেও পড়তে হয়নি। তবে তার নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো মাথাব্যাথা ছিল না। এটি সবচেয়ে বড় গ্রাউন্ড হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে আরো অনেকের অ্যাসাইলাম মঞ্জুর হয়েছে। তবে তারা সকলেই দালালকে মোটা অর্থ দিয়ে বিভিন্ন দেশ ঘুরে মেক্সিকো হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকালে ধরা পড়েন এবং অভিবাসন দফতরের ডিটেনশন সেন্টারে অবস্থানকালে অ্যাসাইলামের আবেদন করেছিলেন।
ওবায়দুল্লাহ্কে ডিটেনশন সেন্টারে যেতে হয়নি। জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণের পর আত্মীয়-স্বজনের বাসায় অবস্থানকালেই আবেদন করেছিলেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি একটি বিরল ঘটনা। ইমিগ্রেশনে অভিজ্ঞ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর পরামর্শ অনুযায়ী ফাইল তৈরি হওয়ায় মঞ্জুরির ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
এদিকে নিউইয়র্কের প্রখ্যাত অ্যাটর্নি অশোক কর্মকার, অ্যাটর্নি মাহফুজুর রহমানসহ আরো কয়েকজন অ্যাটর্নির মাধ্যমেও গত এক বছরে শতাধিক বাংলাদেশির অ্যাসাইলাম মঞ্জুর হয়েছে, যারা মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় সীমান্তরক্ষীর হাতে ধরা পড়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম