শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ৫ সেরা জয়

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের  ৫ সেরা জয়

১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেক। করোনাভাইরাসে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে সর্বশেষ ম্যাচ খেলে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। ৩৪ বছরে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৩৭৬টি। ১৮ দেশের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলে জয় ১২৮টি বা ৩৪.৬৮ শতাংশ। হার ২৪১টি এবং খেলা হয়নি ৭ ম্যাচে। ভারত, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অনেক দেশের বিপক্ষেই বহু স্মরণীয় জয় আছে। কঠিন হলেও এখান থেকে সেরা পাঁচ জয় বাছাই করা হয়েছে- 

 

ওয়ানডেতে প্রথম জয়

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপে। প্রথম জয় এক দশক পর ১৯৯৮ সালে। ভারতের হায়দরাবাদে কোকো-কোলা ট্রায়াঙ্গুলার কাপে কেনিয়ার বিপক্ষে জয়টিই  বাংলাদেশের প্রথম জয়। স্পিন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ রফিকের তুখোর পারফরম্যান্সে ১২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় টাইগারদের। রফিক বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ম্যাচজয়ী ৭৭ রানের ইনিংস। ম্যাচসেরা রফিক প্রথমবারের মতো ওপেন করতে নেমে ৮৭ বলের ঝড়ো ইনিংসে মেরেছেন ১১ চার ও ১ ছক্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

কেনিয়া : ২৩৬/১০, ৪৯ ওভার ( মোহাম্মদ রফিক ৩/৫৬)।

বাংলাদেশ : ২৩৭/৪, ৪৮ ওভার  মোহাম্মদ রফিক (৭৭)।

ফল : ৬ উইকেটে জয়ী।

 

বিশ্বকাপে পাকিস্তান বধ

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রথম অংশ নেয় ১৯৯৯ সালে। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের প্রথম আসরেই বাজিমাত করে টাইগাররা। ৩১ মে নর্দাম্পটনে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে চমকে দেয় ক্রিকেট বিশ্বকে। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারাতে দুর্দান্ত অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ব্যাটিংয়ে আকরাম সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন। ম্যাচসেরা সুজন ২৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন ৩৪ বলে ৩ চারে। বোলিংয়ে একাই ধসিয়ে দেন বিশ্বসেরা পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। ১০ ওভারের স্পেলে ৩১ রানের খরচে নেন ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ : ২২৩/৯, ৫০ ওভার (আকরাম খান ৪২)।

পাকিস্তান : ১৬১/১০, ৪৪.৩ ওভার ( খালেদ মাহমুদ সুজন ৩/৩১)।

ফল : বাংলাদেশ ৬২ রানে

জয়ী।

 

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চমক

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঘটন ধরা হয় বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। ক্রিকেট পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর নায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। ওভার প্রতি ৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে আশরাফুল একাই ধসিয়ে দেন অসি বোলিং লাইন। ১০০ রানের নান্দনিক ইনিংসটি খেলেন ১০১ বলে। ইনিংসটিতে কোনো ছক্কা না থাকলেও ছিল ১১টি চার। শেষ দিকে ফিনিশিং টানেন আরেক বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আফতাব আহমেদ। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৭ রান। জেসন গিলেস্পির প্রথম দুই বলেই ম্যাচের সমাপ্তি টানেন আফতাব।     

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া : ২৪৯/৫, ৫০ ওভার (তাপশ বৈশ্য ৩/৬৯)।

বাংলাদেশ : ২৫০/৫, ৪৯.২ ওভার  মোহাম্মদ আশরাফুল ১০০)।

ফল : বাংলাদেশ ৫ উইকেটে

জয়ী।

 

সুপার এইটে বাংলাদেশ

নিজেদের শততম ওয়ানডেতে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটাই ছিল প্রতিবেশী দেশের বিপক্ষে প্রথম জয়। এরপর আরও জয় পেয়েছে। কিন্তু ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের জয়টিই স্মরণীয়। পোর্ট অব স্পেনে মাশরাফি বিন মর্তুজার বিধ্বংসী বোলিংয়ে ভারতকে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই জয়েই সুপার এইটে খেলেছিল টাইগাররা। মাশরাফির বোলিংয়ে উদ্দীপ্ত হয়ে দারুণ ব্যাটিং করেছিলেন তিন তরুণ তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন তিন তরুণই। ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মাশরাফি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ভারত : ১৯১/১০, ৪৯.৩ ওভার (মাশরাফি বিন মর্তুজা ৪/৩৮)।

বাংলাদেশ : ১৯২/৫, ৪৮.৩ ওভার (তামিম ৫১, মুশফিক ৫৬*, সাকিব ৫৩)।

ফল : বাংলাদেশ ৫ উইকেটে

জয়ী

 

টাইগারদের ইতিহাস

বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে ইংল্যান্ডকে হারাতেই হতো বাংলাদেশকে। এডিলেডে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে ক্রিকেট পরাশক্তি ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় টাইগাররা। লাল-সবুজ পতাকার দলটিকে সেরা আটে জায়গা করে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ অবিশ্বাস্য এক সেঞ্চুরি করে। বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরির রেকর্ড। দুরন্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি করে মাহমুদুল্লাহ ম্যাচসেরা হলেও দারুণ বোলিং করেন রুবেল হোসেন। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এক ওভার ২ উইকেট নিয়ে দলের জয় সহজ করেন ডানহাতি ফাস্ট বোলার। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ২৭৫/৭, ৫০ ওভার (মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১০৩)।

ইংল্যান্ড : ২৬০/১০, ৪৮.৩ ওভার ( রুবেল হোসেন ৪/৫৩)।

ফল : বাংলাদেশ ১৫ রানে

জয়ী।

সর্বশেষ খবর