জয়ের জন্য শেষ ওভারে তামিম ইকবালের বরিশালের দরকার ২০ রান। টি-২০ ক্রিকেটে হরহামেশাই উঠছে এই রান। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে শেষ ওভারে চার ছক্কায় ম্যাচ জেতানোর রেকর্ডও রয়েছে। এমন উদাহরণ যখন রয়েছে, তখন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে বাড়তি ভাবনা করতেই হয়েছে। তাই মুশফিক শেষ ওভারটা একটু সময় নিয়ে বোলিং করার টিপস দেন মুক্তার আলিকে। অধিনায়কের নির্দেশ মেনে সময় নিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে মাত্র ১০ রান দেন মুক্তার। দুই বাউন্ডারি দিলেও তুলে নেন দুটি উইকটে। মুক্তারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ঢাকা ৯ রানে তামিমের বরিশালকে বিদায় করে ফাইনালে খেলার আশা জাগিয়ে রেখেছে। আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারে চট্টগ্রাম-খুলনা ম্যাচের পরাজিত দলের বিপক্ষে লড়াই করবে ফাইনালে উঠতে। এলিমিনেটর ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫০ রান তোলে ঢাকা। জবাবে বরিশালের ইনিংস থেমে যায় ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৪১ রানে।
শীতের দুপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ঢাকা। পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৩ উইকেটে ২৪ রান তুলে মুশফিক বাহিনী। সেই ধাক্কা সামলে নেন মুশফিক ও ম্যাচসেরা ইয়াসির চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪১ বলে ৫০ রান যোগ করে। মুশফিক ৩০ বলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৪৩ রান করে ধরে রাখেন ধারাবাহিকতা। ইয়াসির ৫৪ রান করেন ৪৩ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায়। ১৫১ রান টার্গেট। ওভার প্রতি সাড়ে ৭ রান তুললেই হবে। ১৪ ওভার পর্যন্ত ম্যাচেই ছিল তামিম বাহিনী।
কিন্তু শেষ দিকে তার হারিয়ে ফেলে আফিফের বিদায়ে। সে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন ৩৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায়। তার বিদায়ে চাপে পড়া বরিশালের দরকার হয় ২ ওভারে ৩৫ রান। ১৯ নম্বর ওভারে ১৫ তুলে ম্যাচে টিকে থাকে বরিশাল। শেষ ওভারে ২০ রান দরকার হয় তামিমদের। কিন্তু মুক্তারের ওভারে সুমন, মেহেদী মিরাজ ১০ রান তুললে বরিশাল হেরে যায় ৯ রানে।সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা : ১৫০/৮, ২০ ওভার (মুশফিক ৪৩, ইয়াসির ৫৪, আকবর ২১। তাসকিন ১/২১, মিরাজ ২/২৩, সোহরাওয়ার্দী শুভ ১/৩২, কামরুর রাব্বি ২/৪০)।
বরিশাল : ১৪১/৯, ২০ ওভার (তামিম ২২, সাইফ ১২, আফিফ ৫৫, হৃদয় ১২, অঙ্কন ১৫, মিরাজ ১৫। রুবেল ২/২২, শফিকুল ৩/৩৯, রবি ১/১৫, আল আমিন ২/২২, মুক্তার ৩/১৮)।
ফল : ঢাকা ৯ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : ইয়াসির আলি চৌধুরী।