বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বৃষ্টি বাধা ও লঙ্কান প্রতিরোধ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বৃষ্টি বাধা ও লঙ্কান প্রতিরোধ

দিনের দুই সেরা বোলার। সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ৩ উইকেট এবং ইবাদত হোসেনের শিকার ২। আর কোনো বোলার সুবিধা করতে পারেননি। -এএফপি

দিনের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। দ্বিতীয় বলেই উইকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টায় লঙ্কান দূর্গে আরও একবার আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। এরপর দিনের দ্বিতীয় সেশনটি বেরসিক বৃষ্টিতে প- হয়ে যায়। শেষ সেশনে প্রতিরোধ গড়ে তোলে সফরকারীরা।

দিন শেষে বেশ ভালো অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৮২ রান তুলেছে তারা। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনো ৮৩ রানে পিছিয়ে।

ঢাকা টেস্টে গতকাল খেলা হয়েছে মাত্র ৫১ ওভার। বাংলাদেশের বোলাররা মাত্র তিন উইকেট নিতে পেরেছেন। তার মধ্যে দুটিই নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। আগের দিনও একটি উইকেট নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। গতকালও তিনি দারুণ বোলিং করেছেন।

দুটি উইকেট নিয়েছেন পেসার ইবাদত হোসেন। বাংলাদেশের আর কোনো বোলার উইকেট পাননি। পেসার খালেদ আহমেদ ১৫ ওভার বোলিং করে ৬২ রান দিয়েছেন। লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা তার ওপর চড়াও হয়ে খেলেছেন কাল। লম্বা সময় বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম। ২৮ ওভারে মাত্র ৬৩ রান দিয়েছেন, কিন্তু উইকেট নেই।

এই ম্যাচেও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তার ব্যাটেই বড় সংগ্রহ পেয়েছিল সফরকারীরা। ঢাকা টেস্টেও দারুণ ব্যাটিং করছেন। ৫৮ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন।

গতকাল দিনের সেরা দুট উইকেট নিয়েছেন সাকিব। আগের দিনে দুবার নতুন জীবন পাওয়া ব্যাটসম্যান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নকে ৮০ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন। দিনের আরেক সফল ব্যাটসম্যান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। লঙ্কান ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার আগেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন। ৯৫ বলে ৯টি বাউন্ডারিতে ৫৮ রান করেছেন তিনি। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের সঙ্গে অপরাজিত রয়েছেন দিনেশ চান্ডিমাল।

আপাতদৃষ্টিতে ঢাকা টেস্ট চট্টগ্রামের মতোই ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে শেষ দুই দিন যে নাটকীয় কিছু ঘটবে না তা কে বলতে পারে?

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট আর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট এক রকম নয়। যদিও প্রথম তিন দিনে এখনো দুই ইনিংসই শেষ হয়নি। কিন্তু ঢাকা সাধারণত শেষের দুই দিন বোলারদের আধিপত্য থাকে অনেক বেশি। বিশেষ করে স্পিনাররা অনেক বেশি সুবিধা পান। বল আন-ইভেন বাউন্স করে। বল টার্ন তো করবেই।

তবে এই ম্যাচে নাটকীয় কিছু ঘটাতে হলে দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই অন্য কিছু করে দেখাতে হবে স্পিনারদের। লঙ্কানদের দ্রুত অলআউট করে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে হবে ওয়ানডে স্টাইলে। বাংলাদেশের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে শেষ সেশনে ব্যাটিং করতে হচ্ছে না। মিরপুরে শেষ সেশন তথা পঞ্চম দিনে ব্যাটিং করা অনেক কঠিন কাজ।

তবে এখন দেখতে হবে প্রথম ইনিংসে স্কোরকে কত দূরে নিয়ে যায় লঙ্কানরা। বড় লিড নিলে উল্টো ব্যাকফুটে চলে যাবে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ খবর