রবিবার, ২৯ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ডমিঙ্গোও

টেস্টে কেন এই ব্যর্থতা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিরিজ শেষে ছুটিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশে ফিরে গেছে ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ শ্রীলঙ্কা। ক্রিকেটারদের ছুটি বলে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরে গেছেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। রয়ে গেছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স ও স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ। বিশ্রামের সময় দুজনেই কাজ করবেন মুমিনুলদের নিয়ে। ২ টেস্ট ও ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-২০ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ৫ থেকে ৮ জুন দুই-তিন ভাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত যে ৩টি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ, এক-দুটি টেস্ট ছাড়া সবগুলোতেই ছিল ব্যাটিং ধস। এই ধসের কোনো কারণ খুঁজে পাননি হেড কোচ ডমিঙ্গো। তবে ব্যাটিং ধস এড়াতে ব্যাটিং অর্ডারে রদবদলের কথা ভাবছেন টাইগার কোচ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে মিরপুর টেস্টে ১০ হারের পর মিডিয়ার মুখোমুখিতে ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের কথা বলেন, ‘ব্যাটিং ধস কেন হচ্ছে, যদি জানতাম, তাহলে তো এরকম হতো না! তবে এ থেকে বাঁচতে ভিন্ন কিছু করতে হবে আমাদের। সেটা হতে পারে ব্যাটিং অর্ডার বদলানো। দু-একটি ব্যাপার ভেবে দেখতে হবে আমাদের।’ তাহলে সঠিক পথেই চিন্তা করেছেন ডমিঙ্গো! মিরপুর টেস্টে দুই ইনিংসের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখলেই পরিষ্কার। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রানে ৪ উইকেট ও শেষ ৫ উইকেটের পতন মাত্র ১৩ রানে। 

৫ থেকে ৮ জুনের মধ্যে ক্রিকেটাররা দুই-তিনভাগে বিভক্ত হয়ে ঢাকা ছাড়বে। সফরের শুরুতেই খেলবে টেস্ট। সূচি অনুযায়ী প্রথম টেস্ট ১৬-২০ জুন এন্টিগায়। দ্বিতীয় টেস্ট ২৪-২৮ জুন সেন্ট লুসিয়ায়। ২ ও ৩ জুলাই প্রথম দুই টি-২০ ডোমিনিকায়। ৭ জুলাই গায়ানায় সিরিজের শেষ ও তৃতীয় টি-২০। ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো গায়ানায় ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই।

মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিনারদের উজার করে দিয়ে আসছে। কিন্তু দীর্ঘ এক যুগ পর মিরপুরের উইকেটে পেসারদের দাপট দেখা গেছে। ২০১০ সালে ভারতের জহির খান সর্বশেষ ১০ উইকেট নিয়েছিলেন টেস্টে। এবার নিলেন আসিথা ফার্নান্দো। দুই লঙ্কান পেসার নিয়েছে ২০ উইকেটের ৮৫ শতাংশ বা ১৭ উইকেট। অথচ ইবাদত ও খালেদের উইকেট মাত্র ৬টি। ক্যারিবীয় সফরে পেসাররা সুবিধা পেয়ে থাকেন। সেজন্যই হয়তো টিম ম্যানেজমেন্ট জরুরিভাবে চাইছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ, তাসকিন ও শরিফুলকে। তবে স্পিনাররাও সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ যাচ্ছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজে।

মুমিনুল বাহিনী চলতি বছরে ৬ টেস্টে মাউন্ট মঙ্গানুই ও চট্টগ্রাম ছাড়া বাকি সবগুলো টেস্টেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছেন। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ঐতিহাসিক জয়ের পর ক্রাইস্টচার্চে সেই একই চিত্র। প্রথম ইনিংসে ২৭ রানে ৫ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ৫ উইকেট হারায় ৩৯ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের ডারবান ও পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যথাক্রমে ৫৩ ও ৮০ রানে গুটিয়ে যায়। এবার ঘরের মাঠে মিরপুর ও চট্টগ্রামে ফের বিপর্যয়। এমন অবস্থান থেকে মুক্তি চাইছেন টাইগার কোচ ডমিঙ্গো, ‘ব্যাটিং বিপর্যয় নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। কিছু একটা বদল আমাদের করতেই হবে।

 এমনটা গত ৬-৮ মাসেই বেশিই হয়েছে। প্রতিটি টেস্টেই হয়তো ৪দিন ধরে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। কিন্তু একটি সেশন এত বাজে হচ্ছে, সেখান থেকে আর ফিরতে পারছি না।

বরাবরের মতো উপরের সারির ব্যাটাররা ব্যর্থ হচ্ছেন। নুরুল হাসান সোহান ছন্দে থাকার পরও তাকে না খেলানোয় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। অথচ লেট অর্ডারে খেলা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত রান করেছেন ০ ও ৯ রান।

সর্বশেষ খবর