সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফ্লাডলাইটে খেলা হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফ্লাডলাইটে খেলা হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায়

কোলাহলমুক্ত সবুজ-শ্যামলের মধ্যে গড়ে উঠছে বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্স। এই কমপ্লেক্সের ফুটবল মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনা দেখে মুগ্ধ সবাই। দেশ-বিদেশের অনেকেই বলেছেন, এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্রীড়া কমপ্লেক্স হতে যাচ্ছে এটি। এবার ফ্লাডলাইটের আলোয় আলোকিত হতে যাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনা। রাতের অন্ধকারেও এখন থেকে অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে ফুটবলীয় লড়াই। গতকাল স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট বসানোর কাজ উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান।

গত বছর দেশের প্রথম কোনো ক্লাব হিসেবে হোম ভেন্যু  তৈরি করে ইতিহাস রচনা করে বসুন্ধরা কিংস। গতকাল কিংস অ্যারিনায় মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে শুরু হয় আন্তর্জাতিকমানের ফ্লাডলাইট স্থাপন করার কাজ। মাঠের চার পাশে চারটি টাওয়ার বসানো হবে। নিজেদের মাঠে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ শুরু হওয়ায় আনন্দিত ইমরুল হাসান বলেন, ‘আজ আমাদের ফ্লাডলাইটের কাজ টাওয়ার স্থাপনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে, আমরা খুবই আনন্দিত ও অভিভূত। এই দিনটির জন্য আমাদের অনেক দিনের অপেক্ষা ছিল। আমি মনে করি এটা শুধু আমাদের নয়, এটা বাংলাদেশের যারা ফুটবলপ্রেমী আছে তাদের জন্য ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। কারণ বেসরকারি উদ্যোগে নিজেদের মাঠে ফ্লাডলাইট স্থাপন বাংলাদেশে এই প্রথম। আমার জানা মতে এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশের প্রথম  কোনো ক্লাবের মাঠের নিজস্ব ফ্লাডলাইট।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফিফা এবং এএফসির একটা গাইড লাইন আছে ফ্লাডলাইটের বিষয়ে। আমরা সেই গাইড লাইন মেনেই ফ্লাডলাইট স্থাপন করেছি। আমরা এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচও আয়োজন করতে পারব। পাশাপাশি এই ফ্লাডলাইট ব্রডকাস্টিংয়েরে জন্যেও সুবিধা হবে।’  আগামী ১ মাসের মধ্যে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ শেষ করে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ রাতে আয়োজন করতে চায় বসুন্ধরা কিংস।

আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে সাধারণত ১২০০ লাক্সের ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়। কিন্তু কিংস অ্যারেনায় ক্যাটাগরি এ, এইচডি মানের ২৫০০ লাক্সের ফ্লাডলাইট বসানো হচ্ছে। ফ্লাডলাইট স্থাপনের দায়িত্বে আছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ইলেকট্রনিক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লক্ষণ কুমার দে। সবমিলিয়ে চারটি টাওয়ারে ফ্লাডলাইট আছে ২৮০টি। এখানে প্রতিটা লাইট হচ্ছে ১.২ কিলোওয়াট, অর্থাৎ ১২০০ ওয়াট। লাক্সের হিসেবে ২৫০০ লাক্স আলো পাওয়া যাবে জানিয়েছেন লক্ষণ কুমার। তিনি বলেন, ‘এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য  ডেসকোর লাইন থাকবে, জেনারেটর থাকবে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সমস্যা হবে না। এছাড়া ইউপিএসও থাকবে। ফলে বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’ তিনি জানান, সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থাও থাকবে এখানে।

 

সর্বশেষ খবর