নতুন টুর্নামেন্ট চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে ফুটবলে নতুন মৌসুমের পর্দা উঠবে। তবে চোখ থাকবে পেশাদার লিগের দিকেই। ১১ অক্টোবর চ্যালেঞ্জ কাপ, ১৫ অক্টোবর ফেডারেশন কাপ ও ১৮ অক্টোবর দেশের ফুটবলে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াবে; যা পেশাদার লিগ নামেই পরিচিত। যারা শিরোপা জেতে তাদেরকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন বলা হয়। এবারের লিগ বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডানের কাছে অভিন্ন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। ২০১৭-১৮ মৌসুমে অভিষেকের পর টানা পাঁচবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। যা ঘরোয়া আসরে নতুন ইতিহাসও বটে। ১৯৪৮ সালে ফুটবল লিগ শুরু হওয়ার পর অন্য কোনো ক্লাব অভিষেক থেকে এতবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এমনকি টানা দুইবারও না।
ওয়ান্ডারার্স ১, আবাহনী ২ বার হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের অপরাজিত হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নেরও কৃতিত্ব রয়েছে। তবে কেউ ডাবল হ্যাটট্রিক শিরোপার ধারেকাছেও যায়নি। সেই রেকর্ড গড়ার হাতছানি দিচ্ছে কিংসকে। এবার লিগ জেতা মানে টানা ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়া। অল্পদিন খেলেই ঘরোয়া লিগের সব রেকর্ডই বসুন্ধরা কিংসের দখলে। ডাবল হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হলে আরেকটি রেকর্ড যোগ হবে। সত্যি বলতে কি, এবারও লোকাল ও ফরেন মিলিয়ে কিংসই সেরা দল গড়েছে। সেক্ষেত্রে তাদেরই টপ ফেভারিট বলা যায়।
ঢাকা মোহামেডানের ট্র্যাজেডি হচ্ছে তারা এখন পর্যন্ত পেশাদার লিগে শিরোপা জিততে পারেনি। প্রথম তিন আসর ও গত লিগে রানার্সআপ হওয়াটাই বড় প্রাপ্তি। দল থেকে তিন খেলোয়াড় বের হয়ে গেলেও মোহামেডানও দেশি ও বিদেশিদের নিয়ে ব্যালেন্সড দল গড়েছে। তাদের লক্ষ্য থাকবে প্রথমবার শিরোপা জিতে দুর্নাম কাটাতে। গত দুই মৌসুমে সাদা-কালোদের পারফরম্যান্সে পরিবর্তন এসেছে। মাঝে একেবারে নিস্তেজ থাকলেও এখন প্রাণবন্ত ফুটবল খেলছে। অন্যদিকে বিদেশি ফুটবলার না থাকলেও ঢাকা আবাহনীকে দুর্বল ভাবা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। স্থানীয়দের নিয়ে ভালোই দল গড়েছে। সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা জেতার রেকর্ড তাদেরই। দ্বিতীয় লেগে বিদেশিদের আসার কথা। বড় দল বলেই আবাহনীর লক্ষ্য থাকবে শিরোপার সংখ্যা সাতে আনতে।
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র আসন্ন মৌসুমে খেলছে না। তারা থাকলে শক্তিশালী দল গড়ত। সেখানে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে মোহামেডান ও আবাহনী। অবশ্য অনেক দিন পর ব্রাদার্স ইউনিয়ন মোটামুটি শক্তিশালী দল গড়েছে। তারা চাইবে শীর্ষ চারে থাকতে।