স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতে বছর শুরু করল বার্সেলোনা। প্রতিশোধ নিতে পারল না রিয়াল মাদ্রিদ। সবশেষ গত অক্টোবরে ঘরের মাঠে লা লিগার ম্যাচে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল। তবে গত স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালের প্রতিশোধ ঠিকই নিল বার্সেলোনা। ২০২৪ সালে ভিনিসাস জুনিয়রের হ্যাটট্রিকে বার্সাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল। তাই এবার এল ক্লাসিকো ফাইনালে রিয়ালকে ৫-২ গোলে হারিয়ে সুপার কাপের ১৫তম শিরোপা ঘরে তুলল ১০ জনের হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। রিয়াল বার্সার পাশে বসতে পারল না (১৩ বার)। সবশেষ এল ক্লাসিকোয় বার্সার চার গোল করেছিলেন লেভানডস্কি, রাফিনিয়া ও ইয়ামাল মিলে। এবারও জালের দেখা পান এই তিন তারকা। গতকাল জোড়া গোল করেন রাফিনিয়া। একটি করে গোল করেন লেভানডস্কি, ইয়ামাল ও আলেহান্দ্রো বালদে। পরপর দুটি এল ক্লাসিকো মিলিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের জালে ৯ গোল দিল বার্সেলোনা। এবারের সুপার কাপের প্রথম সেমিফাইনালে অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ২-০ গোলে হারিয়ে এল ক্লাসিকোর জন্য মঞ্চ তৈরি করেছিল হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা। তাই ফাইনালে ফুটবলপ্রেমীরাও চাচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করল কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ। ফলে এল ক্লাসিকোর উন্মাদনা দ্বিগুণ হয়ে যায়। কেননা এ নিয়ে পরপর তিনবার সুপার কাপের ফাইনালে এল ক্লাসিকো গড়াল। ২০২৩ সালের ফাইনালে জিতেছিল বার্সেলোনা। ২০২৪ সালে ৪-১ গোলে জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাই গতকালের ফাইনাল ছিল শিরোপার আধিপত্য ও সম্মানের লড়াই। এই প্রথমবার সৌদির জেদ্দায় আয়োজিত হলো স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল। এ ম্যাচ জিতে শিরোপার আধিপত্য ধরে রাখল বার্সা। বার্সেলোনাকে স্পর্শ করতে পারল না রিয়াল।
ম্যাচে ছেলেখেলা করল বার্সা। ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ধুলোর মতো উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা। ম্যাচের ফল বার্সার পক্ষে ৫-২। নিয়ম মেনে ম্যাচটা ৯০ মিনিটের হলেও খাতাকলমে ম্যাচের ফল কী হবে তার ইঙ্গিত মিলেছিল প্রথমার্ধের শেষে। প্রথমার্ধে বার্সা ৪টি গোল আর রিয়াল মাত্র একটি গোল করতে পারে। বড় অঘটন না ঘটলে যে রিয়ালের পক্ষে কামব্যাক সম্ভব ছিল না তা বোঝা গিয়েছিল প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার পরেই। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এমবাপ্পের গোলে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে প্রথমার্ধেই চার গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সেলোনা। ২২ মিনিটে ইয়ামাল, ৩৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লেভানডস্কি এবং ৩৯ ও ৪৮ মিনিটে রাফিনিয়া জোড়া গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বালদের গোলে স্কোর লাইন ৫-১ করে ফেলে তারা। কিছুক্ষণ পরই বার্সার গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর রদ্রিগোর গোলে পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পারে রিয়াল। শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে মেতে ওঠে বার্সেলোনা। এ মৌসুমে বার্সেলোনার দায়িত্ব নিয়ে প্রথম ফাইনালেই শিরোপার স্বাদ পেলেন জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।