আগের রাতের ভারী বৃষ্টিতে ভেজা ছিল সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড। মাঠ ভেজা থাকায় দিনের খেলা শুরু হয় দেরিতে। প্রথম সেশনে খেলা হয়নি। বাংলাদেশ ‘এ’ ও নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের খেলা হয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে ৬৪ ওভার। দুই সেশন ব্যাটিং করে দিন পার করেছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল। সংগ্রহ করেছে ২২৬ রান। স্বাগতিক বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বোলাররা তুলে নিয়েছে ৮ উইকেট। চার দিনের আনঅফিশিয়াল টেস্টের প্রথম দিনের ব্যবচ্ছেদে দেখা গেছে দুই দলের পারফরম্যান্স সমানে সমান। আজ দ্বিতীয় দিন ৮ উইকেটে ২২৬ রান নিয়ে খেলতে নামবে সফরকারীরা। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের ‘এ’ দল এর আগে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে এবং নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে স্বাগতিকরা সিরিজ জিতেছে। এখন দুটি চার দিনের ম্যাচের প্রথমটি খেলছে। দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে।
সিলেটের উইকেটে ঘাস রয়েছে। আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন। পুরোপুরি পেস সহায়ক। এমন আবহাওয়াকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে টস জিতে ফিল্ডিং নেন স্বাগতিক অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আবহাওয়াকে পুরোপুরি কাজে লাগান তিন পেসার ইবাদত হোসেন, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও আনামুল হক। তিন পেসারের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এক পর্যায়ে ১০১ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে পুরোপুরি কোণঠাসা হয়ে পড়ে কিউই ‘এ’ দল। সেই বিপর্যয় রোধ করে দলকে টেনে নিয়ে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার মিচেল হে ও ডিন ফক্সক্রফট। সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৯৮ রান। এ জুটিতেই লড়াকু স্কোর গড়ে সফরকারীরা। ফক্সক্রফট দলীয় ১৯৯ রানে সাজঘরে ফেরেন খালেদ আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করেন। ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ৫৬ বলে ৯ চারে। সতীর্থ আউট হলেও উইকেটে আঁকড়ে থেকে দিন পার করেন হে। আজ ব্যাটিং করতে নামবেন ৬৮ রানে অপরাজিত থেকে। ১০৬ বলের ইনিংসটিতে তিনি হাঁকান ৬টি চার ও একটি ছক্কা। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ‘লোকাল হিরো’ খালেদ। ১৬ ওভারের স্পেলে ৩টি মেডেনসহ ৪৭ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। ২৪ বছর বয়স্ক আনামুলও দুর্দান্ত বোলিং করেন। ২৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা আনামুলের স্পেল ৯-১-৩১-৩। ২০ টেস্ট খেলা ইবাদত ৪৪ রানের খরচে নেন ১ উইকেট। তিন স্পিনার হাসান মুরাদ, নাঈম হাসান ও মাহামুদুল হাসান জয় বল করলেও ছিলেন উইকেটশূন্য।
নিউজিল্যান্ড ‘এ’
প্রথম ইনিংস, ২২৬/৮, ৬৪ ওভার (মারিয়ু ১৩, কার্টার ১৭, কেলি ২০, আব্বাস ৫, বয়েল ১৪, ক্লার্কসন ১৬, হে ৬৮, ফক্সক্রফট ৪৭, অশোক ৩, ক্লার্ক ১২। ইবাদত হোসেন ১২-১-৪৪-১, খালেদ আহমেদ ১৬-৩-৪৭-৪, হাসান মুরাদ ১৪-১-৪২-০, আনামুল হক ৯-১-৩১-৩, নাঈম হাসান ১২-১-৪৯-০, মাহামুদুল হাসান জয় ১-০-৩-০)।