মিত্র না শত্রু
ভাই খেলার কি অবস্থা? মিত্র না শত্রু পক্ষ ভালো খেলছে। রবিবার শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে অনেকে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ফোন করে এভাবেই খেলার খবর জানতে চাচ্ছিলেন। মিত্র বলতে ভারত আর শত্রু বলতে তারা পাকিস্তানকে বুঝাচ্ছিলেন। দুই দলকে কেন এ নাম দেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে টেলিফোনে এক পাঠক বললেন, মুক্তিযুদ্ধের পরতো দু'টো শব্দই সংবিধানে লেখা হয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে বিভ্রান্তি বা আক্ষেপ হওয়ার কিছু নেই। টেলিভিশনে খেলা দেখানোর পরও পত্রিকা অফিসে কেন ফোন, একথা উঠতেই এক পাঠক ক্ষিপ্ত হয়েই বললেন, এলাকায় বিদ্যুৎ নেই বলেতো বিরক্ত করছি।
এই তো সুযোগ
ভারতের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ ফুটবল দল এখন গোয়াতে অবস্থান করছে। যাওয়ার আগে দলের কোচ লোডডিক ক্রুইফ জয়ের আশ্বাস দিয়ে যান। এ ব্যাপারে বিমানবন্দরে দলের ফুটবলারের মন্তব্য ছিল জিতব কিনা জানি না। তবে সুযোগ যখন পেয়েছি তখন ভালোই লাগছে। কারণ অনেক দিনের শখ ছিল গোয়ার সৌন্দর্য দেখে আসবে।
নিষ্ক্রিয় সনি
কলকাতা আইএফএ শিল্ডে রীতিমতো হিরো বলে যান শেখ জামাল ধানমন্ডির সনি নর্দে। ফাইনালে কলকাতা মোহামেডানের কাছে দুর্ভাগ্যক্রমে ট্রাইব্রেকারে হারলেও টুর্নামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সনি। অথচ এই সনিকেই লিগে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কলকাতা থেকে ফেরত আসার পর নিটল টাটা পেশাদার লিগে টিম বিজেএমসি ও আবাহনীর সঙ্গে ড্র করে মূল্যবান চার পয়েন্ট নষ্ট করে। এই অবস্থায় তারা প্রথম পর্বে শীর্ষে থাকবে কিনা তা অনিশ্চিতই বলা যায়। কেননা এখনো তাদের শেখ রাসেল ও উত্তর বারিধারার সঙ্গে খেলা বাকি রয়েছে। কথা হচ্ছে সনিকে ঘিরে। দুই ম্যাচে তাকে বেশ নিষ্ক্রিয় মনে হয়েছে। কারও কারও ধারণা সনি নর্দে পা বাঁচিয়ে খেলাতে নিজেকে তুলে ধরতে পারছেন না। ইস্টবেঙ্গল থেকে যে অফার এসেছে তাতে তার সামনে মৌসুমে শেখ জামালে থাকার কথা নয়। পা ভাঙ্গলেতো আর ইস্টবেঙ্গল নেবে না, তাই নাকি পেশাদার লিগ সনির কাছে এখন গুরুত্বহীন হয়ে পড়ছে।
অর্থটাই মূল
এশিয়া কাপকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এই অভিযোগ এখন অনেকেরই। আগে যে ক'বার বাংলাদেশে এর আয়োজক ছিল তাতে দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এবারে ততটা নয়, সবাই যেন টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে ব্যস্ত। এমন অভিযোগ বিসিবির সাবেক এক কর্মকর্তা একেবারে উড়িয়েও দেননি। তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপ বলেই টি-২০ আলাদা একটা গুরুত্ব পাবেই। এখানে প্রচুর অর্থের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশে অনেকের কাছে অর্থটা মূল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। কেউ কেউ আবার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছও হয়েছেন। সুতরাং টি-২০ বিশ্বকাপকে গুরুত্ব দেওয়ার মূল কারণটাই হচ্ছে অর্থ।
জনপ্রিয়তা
ফুটবল, ক্রিকেট বা হকির মতো না হলেও ইনডোর ইভেন্ট টেবিল টেনিসেও এক সময়ে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা ছিল। লিগ বা জাতীয় আসর হলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোচিং সেন্টারে উপচে পড়া দর্শকের সমাগম ঘটত। এখন কেউ টেবিল টেনিসের খবরই রাখতে চান না। যার প্রমাণ সদ্য সমাপ্ত জাতীয় আসর। টেবিল টেনিসে এবার যে জাতীয় প্রতিযোগিতা হয়েছে দর্শকতো দূরের কথা অনেক সাবেক খেলোয়াড়রাই তা জানত না।