মাশরাফি বিন মর্তুজা বিশ্বকাপগামী দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলছেন। ইনজুরির জন্য গত বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি। নাহলে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টানা চারটি বিশ্বকাপ খেলার বিরল রেকর্ড গড়তেন। তারপরও তিন তিনটি বিশ্বকাপ খেলছেন এবার নিয়ে। তার সঙ্গী দলের তিন তারকা সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করছে এই তিন তারকা ক্রিকেটারের ওপর। এটা ভালোই জানেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি। জানেন বলেই তিন তারকার ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে টাইগার অধিনায়কের।
কাল বিশ্বকাপ মিশনে অংশ নিতে ঢাকা ছাড়ছেন মাশরাফিরা। শুধু যাচ্ছেন না সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এখন অবস্থান করছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ২৬ জানুয়ারি দলের সঙ্গে যোগ দিবেন ব্রিসবেনে। বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্ট খেলতে বেশ কয়েকদিন আগে অস্ট্রেলিয়া গেছেন সাকিব। সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। গত দুই বিশ্বকাপে ১৫ ম্যাচ খেলেছেন এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। ২৬.৪৬ গড়ে রান করেছেন ৩৪৪। যাতে রয়েছে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি। ৫২৫ রানে উইকেট নিয়েছেন ১৫টি। সেই সাকিবের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মাশরাফি, 'পৃথিবীর যে কোনো উইকেটে ভালো বোলিং করার সামর্থ্য রাখেন সাকিব।' বিশ্বকাপে মুশফিক ভালো করবেন বলে আত্দবিশ্বাসী টাইগার অধিনায়ক, 'মুশফিক ফর্মে রয়েছেন। আশা করি সে বিশ্বকাপে এবার ভালো করবেন।' তামিম ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন। তার ওপরও আস্থা রয়েছে মাশরাফির, 'তামিম ম্যাচ উইনার। সে সুস্থ থাকলে অবশ্যই ভালো খেলবেন।' দুই বিশ্বকাপে মুশফিক রান করেছেন ১৫ ম্যাচে ২১.২০ গড়ে ২১২। হাফসেঞ্চুরি একটি। বাঁ হাতি ওপেনার তামিম ১৫ ম্যাচে ৩২৯ রান করেছেন ২১.৯৩ গড়ে। হাফসেঞ্চুরি দুটি।
তিন সিনিয়র ক্রিকেটার এবার তৃতীয় বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে। তিনজনকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন টাইগার অধিনায়কের। যদিও তাদের আগের দুই বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান আহামরি নয়। তারপরও আস্থা রেখেছেন তিন সিনিয়রের ওপর, 'দেশের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে পারফর্ম করছেন তারা। শুরু থেকেই ভালো খেলছেন। এটা ঠিক ভালো-মন্দের মধ্যে দিয়েই একজন ক্রিকেটারকে চলতে হয়। আমি মনে করি, তারা এখন অনেক অভিজ্ঞ। সময় এসেছে তাদের ভালো করার। ক্রিকেটবিশ্ব তাদের যেভাবে চিনে, সেভাবে যদি তারা পারফর্ম করতে পারেন, তাহলে বিশ্ব অন্যভাবে চিনবে।'