কাতারের রেফারি খামিশ মোহাম্মদ যখন ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান, তখন মাঝ মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস বুকে ক্রস চিহ্ন অাঁকেন। আকাশ পানে চেয়ে স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কাল তার নয়ন জুড়ানো গোলেই ১৫ কোটি টাকার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিতে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। বয়স মাত্র ২০। অথচ শারীরিক গঠনে মনে হয় ৩০ বছরের গাট্টাগোট্টা কোনো ছেলে। কৃষ্ণ বর্ণে হেমন্তই কাল হয়ে উঠেছিলেন ১৬ কোটি বাঙালির ত্রাণকর্তা। অসাধারণ এক গোল করে বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিতে। অসাধারণ, দুর্দান্ত, চোখধাঁধানো ফুটবল খেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে জয় এনে দেওয়া হেমন্ত এখন বাংলাদেশের 'গোল্ডেন বয়'। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে নেমে দ্বীপরাষ্ট্রের রক্ষণভাগ ভেঙে-চুড়ে দেন। মান বাঁচানো গোল করেন। তার খেলায় মুগ্ধতা ঝড়েছে বাংলাদেশের কোচ লোডডিক ক্রুইফের, 'হেমন্তের বয়স মাত্র ১৮। অথচ তিনি খেলেন অভিজ্ঞ ফুটবলারদের মতো।' প্রশংসা করেছেন লঙ্কান কোচ নিকোলা কাভাজোভিকও। হেমন্তকে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলতেও কার্পণ্য করেননি, 'বাংলাদেশ ফুটবলের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হেমন্ত।'