জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে ৭৩ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছেন আফগানিস্তান। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে ঘরে তুলে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে এই প্রথম কোনো সহযোগী দেশ একাধিক ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতল।
গত বছর জিম্বাবুয়ে সফরে চার ম্যাচের সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে আফগানিস্তান। সেবার শেষ দুই ম্যাচ জেতা দলটি এবার সিরিজই জিতে গেল।
শনিবার বুলাওয়ায়োর কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটামুটি ভালোই করে দুই ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ও নুর আলি জাদরান। ব্যক্তিগত ২৬ রানে শাহজাদ ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ৯৭ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন নুর আলি জাদরান। সর্বোচ্চ ৫৪ রান করা নুর আলির ৮৮ বলের ইনিংসটি গড়া ৫টি চারে। তার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি সাবেক অধিনায়ক নবি (৫৩)।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। কিন্তু অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাইয়ের ধৈর্য্যশীল ৩৮ ও মিসওয়াইস আশরাফ (১৬ বলে ২১) ও দৌলত জাদরানের (৯ বলে অপরাজিত ১৩) দুটি আক্রমণাত্মক ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান করে সফরকারিরা। জিম্বাবুয়ের ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও সিকান্দার রাজা তিনটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় জিম্বাবুয়ে। দৌলত জাদরান ফিরিয়ে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান চামু চিবাবা ও রিচমন্ড মুতুমবামিকে। তিন নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিনকে বিদায় করেন মিরওয়াইস আশরাফ। তৃতীয় ওভারে ক্রিজে আসা উলিয়ামস এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। আমির হামজা নিজের তিন ওভারের মধ্যে টিনোটেন্ডা মুটুমবডজি ও রাজাকে ফিরিয়ে দিলে ১৫তম ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৫১।
অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা (১৪) ও টেন্ডাই কিশোরো (১০) দুই অঙ্কে পৌঁছলেও উইলিয়ামসকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেননি। তাই ক্যারিয়ারের প্রথম শতক করেও দলের হার এড়াতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান উইলিয়ামস। ১২৪ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা ব্যক্তিগত ১০২ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন উইলিয়ামস আউট হন তখন জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১৭২ রান। হার ৭৩ রানের।
২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সেরা বোলার দৌলত। হামজা ৩ উইকেট নেন ৪১ রানে।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর, ২০১৫/মাহবুব