ফিফা প্রেসিডেন্ট পদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন মিশেল প্লাতিনি৷ একপ্রকার বাধ্য হয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দ্বীতা করবেন না বলেই সিদ্ধান্ত নিলেন প্রাক্তন ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার৷ ফিফা-র এথিক্স কমিটি গত মাসেই ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার ও প্লাতিনিকে আট বছরের জন্য ফুটবলের সব ধরণের কর্মকাণ্ডে নিষিদ্ধ করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলেই শাস্তির খাড়া নেমে এসেছে৷
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ফিফা সভাপতি নির্বাচন হবে৷ প্লাতিনি স্বপ্ন দেখতেন ফিফা-র মগডালে বসার৷ কিন্তু সেই স্বপ্নে নিজেই জল ঢাললেন৷ প্লাতিনি বলছেন,‘ফিফা-র প্রেসিডেন্ট পদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলাম৷ আমার হাতে সময় নেই মানুষের সঙ্গে ভোটের ময়দানে লড়াই করার৷ আদালতে এ’কদিন যা সময় কাটিয়েছি, ফুটবল ময়দানেও সম্ভবত অত সময় দিইনি৷ ৪-৩-৩ বা ৪-৪-২ নিয়ে কথা বলা অনেক সহজ৷ দার্শনিকের মতো শোনালেও এটাই সত্যি৷ কিন্তু আমার সঙ্গে অবিচার হয়েছে৷ আমি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি৷’
ফিফা প্রেসিডেন্ট পদে জর্ডানের প্রিন্স অল বিন হুসেইন, বাহরাইনের সালমান বিন আল খলিফা, ফ্রান্সের জেরোমি চ্যাম্পেঞ্জ, দক্ষিণ আফ্রিকার টোকিং সেক্সওয়েল এবং সুইজারল্যান্ডের জিয়ানি ইনফ্যান্টিনো। এদের মধ্যে কেবল স্যাক্সওয়েল ব্যবসায়ী। প্রিন্স আলি ফিফার ভাইস প্রেসিডেন্ট, সালমান বিন আল খলিফা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট, জেরোমি চ্যাম্পেঞ্জ এক সময় ফিফাতে নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং জিয়ানি উয়েফার জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমানে৷ এদের সঙ্গেই লড়াইয়ে ছিলেন প্লাতিনি৷
বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন