ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেটের চতুর্থ আসরে চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারলো বরিশাল বুলস। টুর্নামেন্টের ২০তম ম্যাচে খুলনা টাইটান্স ২২ রানে হারিয়েছে বরিশালকে। এই জয়ে ৬ খেলায় ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে এককভাবে জায়গা করে নিলো মাহমুদুল্লাহ’র খুলনা। আর সমানসংখ্যক ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে থাকলো বরিশাল।
জয়ের জন্য ১৫২ রানের জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা ধীরলয়েই করে বরিশাল। টেস্ট ও ওয়ানডে দুই স্টাইলে খেলে স্কোর বোর্ডে রান তুলছিলো তারা। ৫ ওভার শেষে ২ উইকেটে ২৮ এবং ১০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৫১ রান বোর্ডে তুলতে পেরেছিলো বরিশালের উপরের তিন ব্যাটসম্যান শ্রীলংকার জীবন মেন্ডিস, প্রথমবারের মত বিপিএলে খেলতে নামা ফজলে মাহমুদ ও শামসুর রহমান। মেন্ডিস ২১, ফজলে ০ ও শামসুর ১২ রান করেন।
পরবর্তীতে রান রেট বাড়িয়েছেন শাহরিয়ার নাফীস ও মুশফিকুর রহিম। ৫ ওভারে দু’জনে যোগ করেন ৪৩ রান। কিন্তু দলীয় ৮৮ রানে নাফীসের বিদায়ের পর থেকে তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে বরিশালের ইনিংস। ৩ বল বাকী রেখেই ১২৯ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। মুশফিকুর ৪টি চারে ২৩ বলে ৩৫ ও নাফীস ২টি চারে ৩৫ বলে ২৮ রান করেন। খুলনার শফিউল ইসলাম ৪ উইকেট নেন।
এর আগে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ দিনের একমাত্র ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামেন বরিশালের অধিনায়ক মুুশফিকুর রহিম। শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ২৪ রানে দুই ওপেনারকে হারায় তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ৪ ও হাসানুজ্জামান ১৯ রানে ফিরেন।
এরপর দলের স্কোরে রান জড়ো করেন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ইংল্যান্ডের রিকি ওয়েসেলস। দু’জনের দু’টি মূল্যবান ইনিংসের পর শেষের দিকে আরিফুল হকের ২২ বলে ২৬ রানের কল্যাণে লড়াকু ৭ উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে খুলনা।
রিয়াদ ৩টি ছয় ও ২টি চারে ২৬ বলে ৪৪ ও ওয়েসেলস ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ বলে ৪০ রান করেন। বরিশালের পক্ষে তাইজুল ইসলাম ৩ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
খুলনা টাইটান্স : ১৫১/৭, ২০ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৪৪, ওয়েসেলস ৪০, তাইজুল ৩/১৮)।
বরিশাল বুলস : ১২৯/১০, ১৯.৩ ওভার (মুশফিকুর ৩৫, নাফীস ২৮, শফিউল ৪/১৭)।
ফল : খুলনা টাইটান্স ২২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (খুলনা টাইটান্স)।
বিডি প্রতিদিন/ ২১ নভেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম-১