প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং দিয়ে দলকে টেনে তুলেছিলেন খাদের কিনারা থেকে। সেই স্টিভ স্মিথের দিকেই আবার তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বেশ চাপে অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফ্ট (৭) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৮) ফিরে গিয়েছেন। সেট হয়েও আউট হয়েছেন উসমান খাওয়াজা (৪০)। বিশ্বকাপের পর ফর্ম্যাট বদলে যাওয়ায় ইংল্যান্ডে যে এখনও মানিয়ে নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা, তা আরও একবার প্রমাণ হল।
টিম যখন প্রবল চাপে, আবার ধৈর্যশীল ব্যাটিং করছেন স্মিথ। ৩২ রান করে ক্রিজে রয়েছেন তিনি। সঙ্গে ট্র্যাভিস হেড (৯) রানে অপরাজিত রয়েছেন। অজিদের প্রথম ইনিংসের ২৮৪ রানের জবাবে ইংল্যান্ড করে ৩৭৪ আন। ৯০ রানের লিড। জবাবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মইন আলি, স্টুয়ার্ট ব্রড ও বেন স্টোকস।
এজবাস্টনের শনিবারের বিকেলটা যদি স্মিথের লড়াইয়ের হয়, তা হলে অজিদের ম্যাচে ফিরিয়ে ছিলেন নাথন লিয়ণ। ররি বার্নস আর মইন আলির জোড়া শিকারই হঠাৎ স্তব্ধ করে দেয় ইংল্যান্ড দলের উত্থান। যে বড় রানের ঝলক দেখা যাচ্ছিল, কিছুটা হলেও থমকে যায়।
১০৫তম ওভারটাই টার্নিং পয়েন্ট বলা যেতে পারে। প্রথম ও ষষ্ঠ বলে দুটো উইকেট নিয়ে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন নাথন লিয়ণ। আগের দিন সেঞ্চুরি করা ওপেনার বার্নসকে ফেরান ১৩৩ রানের মাথায়। আর মইন (০) দাঁড়াতেই পারেননি। এজবাস্টনে প্রথম ৩০ ওভারে কোনও উইকেটই পাননি। সাদামাঠাই দেখাচ্ছিল তাকে। সেই অফস্পিনারকেই পরের ওভারগুলোতে ধারাল দেখাল। সব মিলিয়ে ৪৩.৫ ওভার বল করে ১১২ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আগের দিনের ২৬৭-৪ নিয়ে নামা জো রুটের টিম মাত্র ১৮ রান ৪ উইকেটে একটা সময় বেশ চাপে পড়ে যায়। দিনের শুরুতে ধাক্কাটা অবশ্য দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। বেন স্টোকসকে (৫০) ফিরিয়ে দিয়ে। বার্নস ও স্টোকসের ৮৮ রানের পার্টনারশিপটা ভেঙে যাওয়ার পর লোয়ার অর্ডারে আর কেউ কার্যত দাঁড়াতে পারেননি। শেষ দিকে ক্রিস ওকস (৩৭ নট আউট) ও স্টুয়ার্ট ব্রড (২৯) কিছুটা না দাঁড়ালে ৩৭৪ রানও উঠত না ইংল্যান্ডের।
অস্ট্রেলিয়ার সফল বোলার প্যাট কামিন্স। ৩৩ ওভার বল করে ৮৪ রান দিয়ে নিয়েছেন তিনটে উইকেট। ২টি করে উইেট প্যাটিনসন ও সিডলের। ইংলিশ টিমের ইনিংস শেষে কামিন্স বলেছেন, 'বল যতক্ষণ শক্ত থাকে, ততক্ষণ আপনি ম্যাচের মধ্যেই থাকতে পারেন। কিন্তু বল নরম হলে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়।'
তৃতীয় দিনের যা ছবি, ইংল্যান্ডের বোলাররা অজিদের দ্রুত ভাঙতে পারলে অ্যাসেজের প্রথম টেস্টেই ১-০ এগিয়ে যেতে পারবে। জো রুটদের স্বপ্নের মাঝে একা দাঁড়িয়ে রয়েছেন স্টিভ স্মিথ। আরও একটা বড় ইনিংসের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। হেড বা পেইনদের কাউকে সঙ্গ দিতে হবে স্মিথকে।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ