ক্ষোভের প্রকাশ পেয়েছিল ক্রিকেটার মেহেদী রানার ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে। যে পোস্টে তিনি তার ক্যারিয়ারের নানা হতাশার দিক তুলে ধরেছিলেন। যেখানে তিনি নির্বাচকদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
রানা লিখেছিলেন, ‘যাই হোক, কিছুদিন আগের কথা; আমি ক্রিকেট বোর্ডের একজন নির্বাচককে ফোন করেছিলাম অন্য কিছু জানার জন্য। উনি আমাকে ফোন করে বললেন, বাংলাদেশ ‘এ’ দলে যোগ দিতে। আগামীকাল থেকে অনুশীলন শুরু হবে। তার পরদিন দেখলাম যে প্র্যাকটিস শুরু হয়ে গেল, কিন্তু আমি নাই! আমি তো ওনাকে ফোন দিতেই পারি। ওনাকে ফোন করলাম। কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ বার ফোন করেছি, ধরে নাই। তারপর আমি মেসেজ দিলাম। মেসেজ সিন করে রিপ্লাই দেয়নি।’
রানা আরও লেখেন ‘এখন আপনারাই বলুন, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা কিভাবে থাকবে? তার পরও ক্রিকেট খেলে যাচ্ছি এটার জন্য যে আমার ফ্যামিলি থেকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আপনি যখন ভালো অবস্থানে থাকবেন, তখন সবাই আপনার পাশে থাকবে। আর যখন আপনি ভালো অবস্থানে থাকবেন না, আপনাকে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হবে। এবং সেটা আমি এখন ভোগ করছি। ক্রিকেটটা আসলে কি মাঝে মাঝে হতাশা সৃষ্টি করে কি না...। আর আমি প্রফেশন হিসেবে নিয়েছি ক্রিকেট। আমি খেলব। এটাই এখন আমার প্রফেশন। এটা আমি ছাড়তে পারব না। যত দিন আমি ভালো খেলব, তত দিনই খেলে যাব ইনশাআল্লাহ।’
তবে কিছুক্ষণ পরই সেই পোস্ট হাওয়া হয়ে যায়। পূর্বানুমান অনুযায়ী ভোল পাল্টান রানা। আজ বুধবার তিনি এক ফেসবুক পোস্টে রানা লিখেছেন, ‘আসসালামুয়ালাইকুম আসা করি সবাই ভালো আছেন | গত কালকে আমার ফেসবুক পেইজ থেকে যে পোষ্ট টি করা হয় সেটা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না আমি আমার এনসি এল ক্রিকেট নিয়ে ব্যাস্ত ছিলাম এবং আমি যখন জানতে পারি যে এইসব পোষ্ট করা হয়েছে সবাই কল দিতে থাকে সাথে সাথে আমি পোষ্ট ডিলিট করি এবং আমার পেইজ থেকে সব এডমিন দের সরিয়ে দেই | দয়া করে আমার সাথে কথা না বলে উল্টা পাল্টা নিউজ করে মানুষকে বিভান্ত করবেন না এবং কালকের ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে আমি অতন্ত্য দুঃখিত। সবাই বিষয়টাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন। যারা নিউজ করেন দয়া করে বিষয় গুলি যাচাই করে তারপর নিউজ করবেন।’
এর আগে অনেক ক্রিকেটার এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বিসিবির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হওয়ার কিছুক্ষণ পরই জানা গেছে হয় তার ফেসবুক হ্যাকড না হয় ভুল বোঝাবুঝি।
ধমক খেয়ে কিংবা রহস্যজনক ফোন পেয়ে রানাদের অবস্থান পাল্টানো আসলেই কী ভালো কোনো সংস্কৃতির লক্ষণ? রানা যা লিখেছিলেন, নিশ্চয়ই বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভ থেকে লিখেছেন। আবার বিসিবির অদৃশ্য চাপে দোষ চাপিয়েছেন মিডিয়ার ঘাড়ে। ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে পোস্ট দিলে, সেকথা বিশ্বাস না করে উপায় কই? মানুষ বিশ্বাস করবে বলেই তো অ্যাথলিট কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা পেজ বা অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করে। আর ফেসবুকের নীল টিক পড়া মানে ওই পেজ থেকে যা পোস্ট হবে, পেজ যার মালিকানায় তিনিই সেই তথ্যের দায় নেবেন। রানা সেই দায় তো নিলেনই না উল্টো মিডিয়াকে বানালেন নন্দঘোষ! ওনারা কী আসলে দর্শক কিংবা ফ্যানদের বোকা ভাবেন?
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল