শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৪

তিন দলে তিন কাহিনী

অনলাইন ভার্সন
তিন দলে তিন কাহিনী

মন্ত্রণালয় কিংবা দলীয় কার্যালয়ে যান না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। তারপরও সৈয়দ আশরাফ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদেও অবস্থান পরিবর্তন করেননি। অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ণ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দীর্ঘ চার বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত তাকে ভারমুক্ত করা হয়নি। আর জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই মহাসচিব বদল করলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। হাওলাদারকে বদলিয়ে নিয়ে এলেন জিয়াউদ্দিন বাবলুকে।

 

সবখানে নিষ্ক্রিয় তবুও আশরাফ সাধারণ সম্পাদক

শাবান মাহমুদ ও নিজামুল হক বিপুল

কখনো দেশে, কখনো বা বিদেশে। মাঝে মধ্যে দৃশ্যমান হলেও তিনি থাকেন পর্দার অন্তরালে। দলের নেতা-কর্মী, সংবাদকর্মী কেউ চাইলেই তার মুখদর্শন পান না। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও তিনি নিষ্ক্রিয়। জেলা সফর প্রয়োজন পড়ে না। তবু সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রীই নন, আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক। আশরাফ এখন লন্ডনে। গত ৬ এপ্রিল তিনি সেখানে গেছেন। তার দেশে ফেরার কথা আগামী ২৪ এপ্রিল। তবে সৈয়দ আশরাফের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে, চলতি মাসে তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই। কবে আসবেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারে না দলীয় কোনো সূত্র। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় এলেও আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক স্থবিরতার নেপথ্যে সৈয়দ আশরাফের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করছেন অনেকে। দলে পর পর দুবারের সাধারণ সম্পাদক তিনি। সৎ-মেধাবী হিসেবে সুনাম থাকলেও তার নিষ্ক্রিয়তায় দল যেমন স্থবির তেমনি কর্মীরা হতাশ। নিজকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন আশরাফ। মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মী তো দূরের কথা কেন্দ্রের অনেক নেতা এমনকি দলীয় সংসদ সদস্যরাও সৈয়দ আশরাফের দেখা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। তার দায়িত্বে থাকা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়েরও প্রায় একই অবস্থা। সূত্র জানায়, ১২ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন ১৩ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ওই দিন তিনি মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দফতর, অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং বক্তব্য দেন। এরপর কেটে গেছে টানা ১৫ দিন। ৩০ মার্চ পর্যন্ত তাকে আর মন্ত্রণালয়ের নিজ দফতরে দেখা যায়নি। তবে ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মাত্র ৪৫ মিনিটের জন্য সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের নিজ দফতরে হাজির হয়েছিলেন সরকারের এই প্রভাবশালী মন্ত্রী। বিগত সরকারের আমলেও মন্ত্রণালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে স্বাক্ষর করতেন মিন্টো রোডের বাসভবনে বসেই। কেন্দ্রে থেকে বার বার আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠন সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সৈয়দ আশরাফের কোনো ভূমিকা নেই। দলীয় বিশেষ কর্মসূচিতে কিছুক্ষণের উপস্থিতি আর কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দেখা গেলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমে অনেকটা নিষ্ক্রিয় তিনি। মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনেও সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে দলীয় নেতাদের দেখা করা ভাগ্যের ব্যাপার। এমনকি টেলিফোনে পাওয়াও আকাশকুসুম কল্পনার মতো। এ ব্যাপারে দলের বিভিন্ন স্তর থেকে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগও এসেছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র। 

মাঠপর্যায়ের নেতারা হতাশ হয়ে এখন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে দেখাও করতে চান না। দলের সাধারণ সম্পাদকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে হতাশ কেন্দ্রের সিনিয়র নেতারাও। তবে দলীয় সভানেত্রীর পছন্দের ও আস্থাভাজন হওয়ার কারণেই সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা এড়িয়ে চলেন অনেকে। তবে দলের একাধিক সংসদ সদস্য তাকে কাছে না পাওয়ার বেদনার কথা জানিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। দলীয় সূত্রমতে, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে বার বার সাংগঠনিক কর্মসূচি দেওয়া হলেও সৈয়দ আশরাফকে কাছে পাননি মাঠপর্যায়ের নেতারা। দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত নেতা আবদুল জলিল যেখানে ইউনিয়ন পর্যায়ের দলীয় সম্মেলনেও যোগ দিতেন, সেক্ষেত্রে সৈয়দ আশরাফকে দেখা যায়নি বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশেও। ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রায় সাড়ে ৩ মাস অতিক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদেও সাংগঠনিক কাজে মন নেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে নিয়োজিত সৈয়দ আশরাফের। সূত্রমতে, দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশ ছাড়া নিজ থেকে খুব কম কর্মসূচিতেই যোগ দেন তিনি। আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সৈয়দ আশরাফ সর্বশেষ কবে এসেছিলেন, কর্মীরা তা ভুলতে বসেছে। জেলাপর্যায়ের দলীয় সম্মেলনেও দেখা যায় না তাকে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের 'ব্রিফ' থাকলে সৈয়দ আশরাফকে দেখা যায়। আবার মিডিয়ায় কথা শেষ হলেই চলে যান গন্তব্যে। সম্প্রতি শেষ হওয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে সরব ভূমিকায় দেখা গেলেও পরবর্তীতে সৈয়দ আশরাফের নিষ্ক্রিয়তা আবারও আলোচনার জন্ম দেয় দলের অভ্যন্তরে। এভাবেই পর পর দুবার আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সৈয়দ আশরাফ। দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা মনে করেন, সৈয়দ আশরাফ দলে সক্রিয় হলে দল সাংগঠনিকভাবে আগের চেয়ে সংগঠিত হবে। কেননা দলে নিষ্ক্রিয় হলেও তিনি নিঃসন্দেহে মেধাবী।

 

তারপরও ভারমুক্ত হলেন না মির্জা ফখরুল

মাহমুদ আজহার

বিরোধী দলের দুর্যোগপূর্ণ রাজনীতিতে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে চার বছর ধরে 'সেকেন্ড ইন কমান্ডের' হাল ধরে রয়েছেন বিএনপির 'ভারপ্রাপ্ত' মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 'প্রশ্নবিদ্ধ ও হাস্যকর' মামলায় ইতোমধ্যে পাঁচ দফায় গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছেন দলের 'ক্লিনম্যান' বলে খ্যাত এই নেতা। গেল দুই বছরের মধ্যে দীর্ঘ সময় তাকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে ইতোপূর্বে যার কোনো নজির নেই। ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি থাকলেও দলের তৃণমূল পর্যায়ে তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দল, বিশিষ্টজনসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছেও তার গ্রহণযোগ্যতার কমতি নেই। তবুও দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তিনি। ভারমুক্ত হয় না তার 'ভার'। নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন- আর কত মামলা হলে, জেল খাটলে মির্জা ফখরুল ভারমুক্ত হবেন? বিএনপির রাজনীতিতে আর কত পরীক্ষা তাকে দিতে হবে? আর যদি মির্জা ফখরুলকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব নাই বা করা হয়, তাহলে অন্য কাউকে কেন ওই দায়িত্ব দেওয়া হয় না? দলের এটা অপূর্ণতা ও সাংগঠনিক দুর্বলতা। প্রধান বিরোধী দলের পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব নিয়োগ না দেওয়ায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে দলের 'দৈন' হিসেবেই দেখছেন। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের একটি অংশের বিরোধিতার কারণেই মির্জা ফখরুলকে পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব করতে বেগম জিয়াই সিদ্ধান্তহীনতায় বলে জানা গেছে।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িতে আগুন, ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধাদানসহ নানা অভিযোগে বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একে একে ৬৩টি অভিযোগ করা হয়। ১৯টিতে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। সাতটি মামলার ইতোমধ্যে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র অনেক নেতাই বলছেন, আগামী কাউন্সিল হলেই মির্জা ফখরুল ভারমুক্ত হতে পারেন। তবে তারা এও বলছেন, দলের কাউন্সিল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাহলে মির্জা ফখরুলকে এভাবে কতদিন এই 'ভার' নিয়ে থাকতে হবে তাও অনিশ্চিত। আর ভারমুক্ত না থাকার কারণে অনেক সিদ্ধান্ত নিতেও তাকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকতে হয় বলে জানা গেছে। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি রয়েছে মির্জা ফখরুলের। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ জেলে যাওয়ার পর বেগম জিয়া দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের কোনো বৈঠক ডাকেননি। তাছাড়া সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মহাসচিবের মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। ওই সময় গুলশান কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের আনাগোনা কমে যায়। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আগে কিছুটা দূরত্ব থাকলেও এখন আর সেই সমস্যা নেই। তারেক রহমানের পছন্দের মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুলের পরিচিতিও রয়েছে। তিন বছরে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সফলতার পরিচয় দেন মির্জা ফখরুল। অবশ্য আন্দোলন সংগ্রামের নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমালোচনার মধ্যেও পড়তে হয়েছে তাকে। তারপরও সব ধকল কাটিয়ে এখনো তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জেলা পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠনের দেখভাল করছেন তিনি। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তার কোনো গ্রুপিং-লবিং নেই। বিভাজনের সৃষ্টি করে কোনো পকেটের রাজনীতিতেও নেই তিনি। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি কিংবা আর্থিক কোনো অনিয়মের অভিযোগও নেই তার বিরুদ্ধে। দলীয় স্বার্থ বিবেচনায় ওয়ান-ইলেভেনের ত্যাগী নেতা-কর্মী এবং ওই সময়ে 'কথিত' সংস্কারপন্থিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল। এ জন্য তাকে অনেক প্রশ্নের মুখোমুখিও পড়তে হয়েছে। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। এরপর ২০ মার্চ চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সৌদি আরবে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে মির্জা ফখরুলকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে যান। এ নিয়ে দলে ব্যাপক ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়। ওই সময় দলের প্রভাবশালী নেতাদের কেউ কেউ বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রে 'ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব' বলে কোনো পদ নেই। প্রকাশ্যেই তারা ম্যাডামের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেন। এরই মধ্যে ২৭ মার্চ দেশে ফিরে আসেন খালেদা জিয়া। দেশে ফিরে ৬ এপ্রিল দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকেন। বৈঠক শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের পদ বিন্যাস অনুযায়ী সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। সেই থেকে মির্জা ফখরুল ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব। এরপর ছিলেন কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান (১৯৮৪-১৯৮৬), কে এম ওবায়দুর রহমান (১৯৮৬-১৯৯১), ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার (১৯৯১-১৯৯৬), আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (১৯৯৬-২০০৭)। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাকে বহিষ্কার করা হলে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মহাসচিবের দায়িত্ব পান। কিন্তু কোনো মহাসচিবকে মির্জা ফখরুলের মতো জেল খাটতে হয়নি।

 

জাতীয় পার্টিতে নতুন মেরুকরণ

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

হঠাৎ মহাসচিব পরিবর্তনের ঘটনায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিতে নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। দলের বিভিন্ন স্তরে শুরু হয়েছে নেতৃত্বের লড়াই। একদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে তৎপর নতুন মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু। অন্যদিকে হারানো পদ ও ক্ষমতা ফিরে পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন রুহুল আমিন হাওলাদার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির একজন প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, 'মহাসচিব পরিবর্তন করায় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সদ্য সাবেক মহাসচিবের অনুগতরা হঠাৎ করেই দলে কোণঠাসা হয়ে গেছেন। পদ ঠিক রাখতে অনেকেই রাতারাতি পক্ষ পরিবর্তন করে নতুন মহাসচিব তোষণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আর নতুন মহাসচিবও এ সুযোগে তার অবস্থান পোক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।' জানা গেছে, দূরত্ব ঘুচিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ তার স্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা রওশনকে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে পথচলার ঘোষণা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তরুণ নেতৃত্ব দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করে আগামীতে দলকে ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে চান সাবেক এ রাষ্ট্রপতি। এ জন্য এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্বে থাকা এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে ১০ এপ্রিল রাতে হঠাৎ করেই দলের মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেন। দায়িত্ব দেন অপেক্ষাকৃত তরুণ ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে। মহাসচিব পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সুর পাল্টাচ্ছেন জাতীয় পার্টির অনেক নেতা-কর্মী। তারা আগের মহাসচিবের গ্রুপ ত্যাগ করে নতুন মহাসচিবের আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন। এতদিন হাওলাদারের খুব কাছের ছিলেন, এমন অনেকে মহাসচিব হওয়ার পরপরই জিয়াউদ্দিন বাবলুর আশীর্বাদ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই তার বাসায় ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নেতা-কর্মীর পদচারণায় মুখর থাকত গুলশানে রুহুল আমিন হাওলাদের বাড়ি 'হাওলাদার কমপ্লেক্স'। কিন্তু সেখানে এখন নীরবতা। নেতা-কর্মীদের যাওয়া আসা নেই। স্রোত এখন মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদের গুলশানের বাড়িতে। মহাসচিব পরিবর্তনের একদিন পরই এরশাদের বনানী কার্যালয় ও কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দৃশ্য পাল্টে গেছে। বেড়েছে নেতা-কর্মীদের আনাগোনা। নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে তারা নতুন করে মাঠে নেমেছেন। এরশাদ-রওশন ও নতুন মহাসচিবকে খুশি করে পছন্দের পদ বাগিয়ে নিতে চান নেতারা।  

গত শুক্রবার বিকালে নতুন মহাসচিবের আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়লে জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ছুটে আসেন সেখানে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর খবর আসে তখনই তিনি আসছেন না। পরবর্তীতে গত রবিবার এইচ এম এরশাদ নতুন মহাসচিবকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যা অনেক সময় এরশাদের আগমনের খবরেও দেখা যায় না। নেতা-কর্মীদের অনেকে মনে করছেন, জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ভালো যোগাযোগ ও বোঝাপড়া আছে। তাই তার সঙ্গে সখ্য কিংবা সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে সুবিধা পাওয়া যাবে। এজন্য এতদিন হাওলাদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দলের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতাও এখন বাবলুর কাছে ভিড়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, পার্টির চেয়ারম্যানের প্রতি অনুগত এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার প্রায় ১৪ বছরের মহাসচিবের পদ হারানোসহ আরও বেশ কিছু ব্যাপারে টেনশনে পড়েছেন। তিনি চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আকস্মিক এ পরিবর্তনে প্রস্তুত ছিলেন না। তবে কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য হাওলাদের মহাসচিব পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং সরকারের সন্তুষ্টির মাধ্যমে রুহুল আমিন হাওলাদারের মহাসচিব পদ ফিরিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে কাজ করছেন। সূত্র জানায়, রুহুল আমিন হাওলাদার নিজেও পদ ফিরে পেতে কৌশল অবলম্বন করছেন। এরশাদ যেদিন মহাসচিব পদে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন, সেদিন সংসদে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আশীর্বাদ কামনা করেন। এরশাদের নেতৃত্বে দলকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। মহাসচিবের পদ পেয়ে তিনি দলের ভেতরে একটা অবস্থান তৈরির সুযোগ কাজে লাগাবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। 

জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো পার্টি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে, বিরোধীদলীয় নেতার সার্বিক নির্দেশনায় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে দল তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করা। দলকে সংগঠিত করে ক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া।' সব স্তরের নেতা-কর্মীর সহযোগিতা চেয়ে জিয়াউদ্দিন বাবলু আরও বলেন, 'দশম সংসদে বিরোধী দল হয়ে জাতীয় পার্টি গত ২৪ বছরের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে।' তবে দলের অনেক নেতা-কর্মী এও বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ ওঠার একদিন পরই মহাসচিব পদ থেকে রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠতেই পারে। এটা প্রমাণ হয়নি। তাছাড়া এরশাদ বলেছেন, তার ও রওশন এরশাদের দূরত্ব ঘোচাতে তিনি মহাসচিব পরিবর্তন করেছেন। তাদের দূরত্ব ঘোচানোর জন্য রুহুল আমিন হাওলাদারকে বলি দেওয়া হবে কেন? এখানে রুহুল আমিন হাওলাদারের দোষ বা ব্যর্থতা কোথায়? নিশ্চয়ই মহাসচিব পরিবর্তনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাপ ছিল। জানতে চাইলে রুহুল আমিন হাওলাদার এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।
 

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত
বিএনপি গণতন্ত্রকে দেশের মানুষের হাতে ফিরিয়ে দেবে: মিল্লাত

১ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি
চট্টগ্রাম থেকে আমিরাতে আরও তিন জাহাজ রপ্তানি

২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু
ডেমরায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ভারতকে ৯৩ মিলিয়ন ডলারের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে যুক্তরাষ্ট্র

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম
এই রায়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে: বদিউল আলম

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান
এনভিডিয়ার শেয়ারের অবিশ্বাস্য উত্থান

১১ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ
আজ বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ

১৪ মিনিট আগে | অর্থনীতি

শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়
শীতে এলার্জির সমস্যা রোধে ৫ উপায়

১৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব
অর্থ আত্মসাৎ মামলা তদন্তে সাকিবসহ ১৫ জনকে দুদকে তলব

১৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা
ছায়ানটে বসছে লোকসংগীতের সন্ধ্যা

২১ মিনিট আগে | শোবিজ

জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন
জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু
ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল শুরু

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
কৈলাশটিলায় বন্ধ কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

২৮ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা
ফটিকছড়িতে কৃষকের পাকা ধান পুড়িয়ে দিলো দুর্বৃত্তরা

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ফিলিপাইনের সাবেক মেয়রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?
ভিনগ্রহীদের ঘাঁটি টিন্ডায়া পর্বত?

৩৩ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ
শ্রীপুরে তারেক রহমানের জন্মদিনে এতিমদের খাবার বিতরণ

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

এবারও আঁধার কাটল না শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জ চিনিকলে, হতাশ চাষিরা
এবারও আঁধার কাটল না শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জ চিনিকলে, হতাশ চাষিরা

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৪৫
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৪৫

৩৮ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

নিউইয়র্কের রাস্তায় এড শিরানের অদ্ভুত যাত্রা
নিউইয়র্কের রাস্তায় এড শিরানের অদ্ভুত যাত্রা

৩৯ মিনিট আগে | শোবিজ

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব গৃহীত

৪০ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ সফরে কমনওয়েলথ মহাসচিব
বাংলাদেশ সফরে কমনওয়েলথ মহাসচিব

৪৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রক্তদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বরিশালে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রক্তদান ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘ট্রাইব্যুনালের রায় পরিবর্তনের সুযোগ নেই, অবশ্যই কার্যকর হবে’
‘ট্রাইব্যুনালের রায় পরিবর্তনের সুযোগ নেই, অবশ্যই কার্যকর হবে’

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধানের তুষের নিচে মিললো কোটি টাকার মসলা
ধানের তুষের নিচে মিললো কোটি টাকার মসলা

৫১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

শান্তি পরিকল্পনার মধ্যেই ইউক্রেনে গেলেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা
শান্তি পরিকল্পনার মধ্যেই ইউক্রেনে গেলেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শরীয়তপুরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ
শরীয়তপুরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বলপ্রয়োগে কাজ হবে না, ট্রাম্পকে খামেনির উপদেষ্টা
বলপ্রয়োগে কাজ হবে না, ট্রাম্পকে খামেনির উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী ‘রায় সাহেবের বাড়ি’
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী ‘রায় সাহেবের বাড়ি’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা