স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আমরা একটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের মানুষের হারানো গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার এবং বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা। শেখ হাসিনা ও তার দোসররা ২০০৭ সালে লগি-বৈঠার তাণ্ডবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল। বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে শেখ হাসিনার উল্লাস আমরা দেখেছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় সাত বছর কারাবন্দী করে রাখা হয়েছিল। তারেক রহমানকে অসংখ্য মামলায় ফাঁসিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।
শনিবার নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে আয়োজিত এক যৌথ কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনও রয়ে গেছে। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের বিপথগামী করার চেষ্টা করছে। অনেক সহকর্মী তাদের প্ররোচনায় পড়ে ভুল পথে যাচ্ছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সদ্য ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশের মাটি থেকে কীভাবে উৎখাত করেছি, তা সবাই দেখেছে। ক্ষমতাধর অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী ও সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদার, সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম রবি এবং সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। যুবদলের নাম ভাঙিয়ে কোনো ধরনের অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশ ছাড়া আমার কোনো ঠিকানা নেই। খুনি হাসিনা থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, ও তাদের দোসররা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমাদের আগামী দিনে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে হবে। ইতিমধ্যে তারেক রহমান কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এগুলো বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করতে হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল