বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত একজনের নাম মুনিরুল ইসলাম (৩৪)। তার বাড়ি কাহালু উপজেলার বীরকেদার এলাকায়। মুনিরুল মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। অপরজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়া সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৯ জন ভর্তি রয়েছেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনাকারীরা অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দুপচাঁচিয়া উপজেলার সামনে সকাল ১০টার দিকে অবস্থান নেন। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকেন তারা। এসময় উত্তেজিত জনতা নেতাকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা করেন। পরে সেখানে থাকা একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়। উপজেলা ভূমি অফিসসহ একাধিক সরকারি স্থাপনায় হামলা করা হয়। এ সময় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ থানার মধ্যে অবস্থান নেয। তখন আন্দোলনকারীরা থানার গেট ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে থানার মধ্য থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় ১২ জন গুলিবিদ্ধ হন। আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষের মধ্যে আহত হয়ে মুনিরুল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছা. শামসুন্নাহার জানান, মুনিরুলের মাথায় গুলি লেগেছিল।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, সংঘর্ষে আহত একজকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া এদিন দুপুরে বগুড়ার শেরপুর থানায় হামলা করে আন্দোলকারীরা। এসময় ১১ জন আহত হন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ