বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার বনশ্রী এলাকায় মুদি দোকানের কর্মচারী মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. আজিজুল হক এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. ওবায়দুল ইসলাম রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মো. আতিকুজ্জামান। রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজিজুল ও রানাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানের কর্মচারী মো. মিজানুর রহমান (২৮) নিহত হন।
সেদিন ছিল শুক্রবার, জুমার নামাজ শেষে বিকালে দোকান খোলার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মিজানুর। তখন সেখানে পুলিশ ও বিজিবি আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে। আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। র্যাবও তখন হেলিকপ্টার ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালায়।
তখন মিজানুরের বাঁ পায়ের উরুতে গুলি লাগে এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই তিনি ফোনে তার স্ত্রীকে জানান। স্ত্রী, বোন ও ভগ্নিপতি দ্রুত মিজানুরকে বনশ্রীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ