উপাচার্যের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। দাবি আদায়ে গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যের পদত্যাগে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। এজন্য আজ ১১টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনিয়ম দূর করাসহ ১৪ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেটের সামনে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন তারা উপাচার্যের পদত্যাগে শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। দাবি আদায় না হওয়ায় গতকাল আবারও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে শাহরিয়ার তপু, খাদিজা তানজিম তানহা, কাওসার হাবিবসহ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। তারা উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়াও প্রক্টরিয়াল বডির পুনর্গঠন, আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ আবিরের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, আন্দোলনের সময় আহত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর তালিকা করে চিকিৎসাসহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান, রাজনৈতিক কারণে পদোন্নতি বঞ্চিত ও চাকরি হারানো শিক্ষকদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া ও পদোন্নতি প্রদান, ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পরিবহন চালু, অবিলম্বে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান যেখানে বাড়ছে, সেখানে নর্থ সাউথের শিক্ষার মান কমছে। দলীয়করণের কারণে অনেক ভালো শিক্ষক চলে গেছেন। অনেকে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। এই উপাচার্য দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে তৃতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রহসন করেছে।
শিক্ষার্থীরা আহতাবস্থায় ক্যাম্পাসে আশ্রয় নিতে চাইলে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা আহত হয়ে আইইউবিতে চিকিৎসা নিয়েছি। এই ‘দালাল’ উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।