গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলো, সেই আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতারা। এ সংগঠনের দুই নেতা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নাহিদ ছিলেন কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার আহ্বায়ক।
সরকার পতনের পর থেকেই ঢাবি শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে সোচ্চার হন। প্রথম দিকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হলেও পরে ক্যাম্পাসে একাধিক মানববন্ধন এবং বিক্ষোভও করেন তারা। ঢাবি কর্তৃপক্ষ ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের ওই অংশ বলছে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরে যাবেন না।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ছাত্রশক্তির ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এতে লেখা হয়, ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন গতকাল গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সবস্তরের নেতা-কর্মীরা এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং এর সঙ্গে একীভূত হয়ে যান। এ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি স্বনামে সক্রিয় ছিল না এবং আমাদের ফেসবুক পেজেও আমরা কোনো ধরনের প্রেস রিলিজ দেইনি। আমাদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সরকারের উপদেষ্টা হন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে এবং এর কার্যক্রমও স্থগিত করা হবে। এরইমধ্যে আমি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন, মূলত আগামীতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে, তার ওপরেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কার্যক্রম নির্ভর করছে এবং তখন যারা দায়িত্ব পালন করতে চাইবেন, তারাই এ সিদ্ধান্ত নেবে।