সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববিবাহিতা স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার চার বছর পার হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত আসামি ছাত্রলীগ নেতারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। পরীক্ষায় আট আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএ ম্যাচ করেছে। দলবদ্ধ ধর্ষণের সাক্ষ্য-প্রমাণও রয়েছে। তার পরও থমকে আছে আলোচিত মামলাটি। অভিযোগ উঠেছে আসামিদের সঙ্গে বাদীর আঁতাতের। এক বছর ধরে আইনজীবীর সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন বাদী। ফলে মামলাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে যান দক্ষিণ সুরমার ওই গৃহবধূ। সেখান থেকে ছাত্রলীগ নেতারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রাইভেট কারসহ ওই দম্পতিকে তুলে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে। সেখানে স্বামীকে বেঁধে রেখে গাড়ির ভিতরই ছাত্রলীগের ছয় নেতা মিলে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ সময় আরও দুই নেতা ধর্ষণকাণ্ডে সহযোগিতা করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্বামীসহ ওই নববধূকে উদ্ধার করে। রাতেই নির্যাতিতাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।