বাজার থেকে নকল ও মানহীন কসমেটিকস পণ্য তুলে নিতে হবে। নকল কসমেটিকসে স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। নকল পণ্যের কারণে সরকার তার পাওনা পায় না। নকল পণ্য রোধ করা গেলে দুই বছরে ১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা সম্ভব। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ ট্যাগযুক্ত পণ্যের মান’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, এফবিসিসিআইর পরিচালক ইসহাকুল হোসেন সুইট, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি)-এর সহসভাপতি এম এস সিদ্দিকী, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, বিএসটিআই-এর উপপরিচালক মোরশেদা বেগম, চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন, অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন, স্কিন কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিনা হক প্রমুখ। মুনাওয়ার হোসেন বলেন, বিউটি পণ্য ব্যবহার করে ফেস জ্বলে গেছে বলে অনেক নারী অভিযোগ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভেজাল পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে, না হলে ভোক্তা প্রতারিত ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) আবদুল জলিল বলেন, বাজার নিম্নমানের কসমেটিকস পণ্যে সয়লাব হলে তা মানুষের জীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে। ভুয়া পণ্য ব্যবহার করে অনেকে এরই মধ্যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য পরিবারেও দিন দিন আর্থিক সংকট বাড়ছে। এজন্য দেশে বিশ্বমানের কসমেটিকস ও হোমকেয়ার পণ্য উৎপাদনের বিকল্প নেই। এতে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানও বাড়বে। অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ কনজিউমার গুডস খাতে বড় বাজার হলেও পণ্য বিক্রেতাদের আন্তর্জাতিক মানের বিষয়টি আমলে নিতে দেখা যায়নি। মানহীন ও ভেজাল পণ্য কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হতেন।