স্ত্রী বিচ্ছেদের জেরে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় বন্ধুর হাতে জাফর আলী খান (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী লিপি আক্তার বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত জাফর আওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার উত্তর চড়াইল গ্রামের
মুনসুর আলী খানের ছেলে। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার পর জাফর আলীর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে তার বন্ধু মিজানুর রহমান এবং তার সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিজানের সঙ্গে জাফরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। তারা নিয়মিত একজন আরেকজনের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। একপর্যায়ে জাফরের স্ত্রীর সঙ্গে মিজানের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তিন-চার বছর আগে মিজান তাকে বিয়ে করে। এ নিয়ে জাফর ও মিজানের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে কিছুদিন আগে মিজানের ওপর হামলা করে জাফর এবং কুপিয়ে দুটি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
এরপর বুধবার ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব মাটিভাঙা গ্রামে একটি জানাজায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে জাফরের ওপর হামলা চালায় মিজান এবং তার সহযোগীরা। তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এরপর বরিশালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ভান্ডারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিলন মন্ডল জানান, নিহত জাফরের স্ত্রী লিপি আক্তার বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।