বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের দুটি পিসিআর মেশিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সরকারি নির্দেশনার অভাব এবং রি-এজেন্ট ও কিট না থাকায় মেশিন দুটি দিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাড়তি খরচ করে নানান পরীক্ষা করতে রোগীদের যেতে হচ্ছে রাজধানীতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেশিনগুলো দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মেশিনগুলো চালুর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ চলছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান।
করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালে বরিশাল মেডিকেল কলেজে স্থাপন করা হয় পিসিআর ল্যাব। এর পর থেকে ল্যাবের দুটি মেশিনে সম্ভাব্য রোগীদের টেস্ট হয়েছে। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে করোনার কিট শেষ হওয়ায় পিসিআর মেশিন দুটিতে কোনো পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। ল্যাব সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা টেস্ট ছাড়াও পিসিআর ল্যাবের যন্ত্র দুটির মাধ্যমে হেপাটাইসিস বি, সি ও জরায়ুর ক্যান্সারসহ নানা পরীক্ষা করা যায়।
এদিকে, রোগীদের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত পিসিআর ল্যাব চালুর লক্ষ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান জানান, ল্যাব চালু করতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চিঠি চালাচালি করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মেশিন দিলেই তো হবে না। লোকবলও লাগবে। লোকবল পেলেই কেবল কার্যক্রম শুরু করা যাবে।