ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে হরষপুর-মির্জাপুর সড়ক অন্যতম। প্রতিদিন ছোট-বড় সহস্রাধিক যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে সড়কটিতে গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে চাকা আটকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়ি। যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সামান্য বৃষ্টি হলেও সীমাহীন দুর্ভোগের কারণ হয় এ সড়ক।
স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক বিজয়নগর উপজেলার পূর্বাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৩০টির অধিক গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ। সরেজমিন দেখা যায়, বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর মোড় থেকে হরষপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তায় ছোট-বড় গর্ত হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর অধিকাংশ জায়গায় ভেঙে গেছে। এর মধ্যে পাইকপাড়া, আমতলী, বাগদিয়া ও সোনামুড়া এলাকায় বেশি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনিই গর্তের মধ্যে গাড়ির চাকা আটকিয়ে যানজটসহ নানা রকম ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রী সাধারণের। যানবাহনের যন্ত্রাংশও নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা জানান, ২০২১ সালে মেসার্স রাঙামাটি-শিপন (জেবি) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার ৬৮০ টাকা ব্যয়ে সড়কটি সংস্কার কাজ শুরু করে। ওই সময় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে নিম্নমানের উপকরণসামগ্রী দিয়ে সড়ক সংস্কার শুরু করলে তা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করে চলে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সড়কটির সংস্কার কাজে ফিরে আসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের অর্ধেক কাজ করে চলে যায়। এরপর গত বছরের প্রথম দিকে বাকি অংশের কাজ করা হয়। তবে দ্বিতীয় ধাপের কাজ যখন শুরু হয় এর মধ্যেই প্রথম ধাপে সংস্কার করা সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়। সংস্কার কাজ করার বছর না পেরোতেই সড়কটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. আশিকুর রহমান ভূঞা বলেন, সড়কের অবস্থা খারাপ। আমরা চেষ্টা করতেছি কী করা যায়। একটা প্রজেক্টে আবেদন পাঠিয়েছি। শিগগিরই সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা হবে।