মাদারীপুর সদর, কালকিনি, শিবচর রাজৈর, ডাসারে নদ-নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ চায়না ম্যাজিক জাল (রিং জাল) দিয়ে মাছ শিকার। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এ ক্ষতিকর চায়না জালের ফাঁদে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ। ক্রমেই মাছশূন্য হয়ে পড়ছে এ এলাকার জলাশয়। যার প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাজারগুলোতেও। এতে সচেতন মহলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অবৈধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই দাবিতে কালকিনিতে সম্প্রতি বিক্ষোভও করেছেন স্থানীয়রা। উপজেলার পৌর এলাকার নয়াকিন্দ নামকস্থানে এ বিক্ষোভ করা হয়। এ সময় স্থানীয় পরিতোষ ম ল, লিটন ম ল, দিনেশ ম ল, শৈলেন মল্লিক, প্রশান্ত ম ল, বশুরাম ম ল, শৈলেন ম ল, মিল্টন ম ল ও মানিক মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে এ জালে মাছ শিকারিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রিং জাল দিয়ে মাছ শিকারে। নদ-নদীতে থাকা মিঠা পানির সব ধরনের দেশি মাছ এ চায়না জালে ধরা পড়ছে। বিশেষ করে কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে পানি বাড়ার পর প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, কই, শিং, মাগুর, তেলাপিয়া, বেলে, বোয়াল, শোল, টাকিসহ সব মাছ ধরা পড়ছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এর আগেও এ জালের ব্যবহারের প্রভাবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দেশি মাছের প্রজননও অনেক কম হয়েছে। জলাশয় ও বাজারে দেশি প্রজাতির মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে সংকটের মুখে পড়েছে এ এলাকার শতশত জেলে পরিবার।
স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের অভিযোগ, অবৈধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আমরা কালকিনি উপজেলা মৎস্য অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, অবৈধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাধারণ জনগণের পক্ষ্য থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।