ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দালনের শিক্ষার্থী ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের টিয়ারশেল এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের নেতাসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও ঝালকাঠি পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের বাসার সামনে গিয়ে ইট পাটকেল ছুড়ে মারে আন্দোলনকারীরা। পরে বাসার সামনে সাটানো থাকা নৌকা নামিয়ে ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে যোগ দেয়। শহরের বেশ কিছু পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে অগ্নিসংযোগ করে তারা।
শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড় আসলেই সরকার দলীয় সমর্থকদের সাথে তাদের শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিলবোর্ড ও সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেয়। সড়কে অবস্থান নিয়ে একদফা দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
জেলার ৪ উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দালন। এ সময় কাঠলিয়ায় উপজেলার বাসস্টান্ড এলাকায় একটি বিআরটিসির বাস ভাঙচুর এবং দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি পুলিশ সুপার আফরোজুল হক টুটুল বলেন, বেলা ১টা পর্যন্ত কোথাও কোন আটক বা গ্রেফতার নেই। সরকারি দলের ৭ জন ও আন্দোলনকারী ৩ জনের আহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া যারা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছে তাদের নাম এবং ফুটেজ পেয়েছি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদেও বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ