নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বঙ্গোপসাগরে মালবাহী ট্রলার ডুবে তিন শিশুসহ চার রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
নিহতরা হলো- শিশু আজিজুল হক (২), তার ভাই আব্দুল কাদের (৩), আছিয়া বেগম (৩) এবং লায়লা বেগম (৪৫)। ট্রলারটিতে মাঝি হুমায়ুনসহ মোট ২১ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। এদের মধ্যে কোস্টগার্ড ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তিন শিশু ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে ভাসানচর থেকে আট নটিকেল মাইল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ২১ জন যাত্রী ও কিছু মালামাল নিয়ে একটি ট্রলার ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রাপথে ট্রলারটি ভাসানচর থেকে আট নটিকেল মাইল দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় পৌঁছালে ট্রলারের নিচে ছিদ্র হয়ে যায়। ফলে ট্রলারটি ডুবে গেলে তিন শিশুসহ এক নারী মারা যান।
ওসি আরো জানান, ট্রলারটিতে থাকা ২১ রোহিঙ্গার মধ্যে ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি তিন শিশু ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছোট ট্রলারগুলো দিয়ে সাধারণত চট্টগ্রাম থেকে মালামাল ও যাত্রী পরিবহন করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল