লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মেঘনার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কে দিনযাপন করছে। ভারী বর্ষণ ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলের ফসল তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ।
তবে আজ মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। প্রতিদিনের ভারী বর্ষণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সামর্থ্য অনুযায়ী বানভাসি মানুষের কাছে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, বিশেষ করে বেড়িবাঁধের বাকিরের লোকজন ও মেঘনা নদীরপাড়ের লোকজন আতঙ্কে দিনযাপন করছে। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও মেঘনা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠ। ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ। হাজার হাজার পানের বরজ তলিয়ে গেছে পানিতে। মেঘনা নদীর ভাঙনে নতুন করে কপালে ভাঁজ পড়েছে ওই অঞ্চলের মানুষের।
উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি ও ভারী বর্ষণের ফলে প্রায় গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আবাদি ফসল, পানের বরজ ও মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খান বলেন, এই উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামে প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ২০টি সাইক্লোন শেল্টারে তিন শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। বানভাসিদের জন্য শুকনো খাবারসহ সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে মেডিকেল টিম। দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই