রংপুর শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার পুবে কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ও শহীদবাগ ইউনিয়নের সীমানায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের কোল ঘেঁষে সৌন্দর্য মেলে ধরেছে বেতানির পদ্ম বিল। এই বিল পদ্মবিল হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। চারদিকে ছড়িয়ে আছে অসংখ পদ্ম ফুল। বাতাসে দোল খাওয়া ফুলের দৃশ্য অপরুপ।
সারাদিন যেমন তেমন ভোরে যেন সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়ে বসে থাকে এই বিল। ফুটে আছে অসংখ্য ফুল। কাছ থেকে তাকিয়ে দেখলে ভাবুক মনে ভাবের উদয় হবে। এই বিলে পদ্মফুল ছাড়াও রয়েছে সাদা বক, পাতি হাঁসের সাঁতার কাটা, বিভিন্ন পাখির কিচির মিচির শব্দ। পদ্মফুল এবং এই বিলের সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে উপভোগ করেন অপরূপ সৌন্দর্য।
স্থানীয়রা জানান, বাংলা বছরের আষাঢ় থেকে শুরু করে কার্তিক মাস পর্যন্ত বেতানির পদ্ম বিলে ফুলের দেখা মিলে। প্রতিবছরই প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেয় এখানকার পদ্মফুল। ফুল দেখার উদ্দেশে রংপুরসহ আশেপাশের কয়েক উপজেলার মানুষ এ বিলে ঘুরতে আসেন। পদ্ম বিলের সৌন্দযর্ উপভোগের পাশাপাশি কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে। বিলের অধিকাংশ জমিতেই প্রাকৃতিকভাবে পদ্মফুল জন্ম নেয়া ফুল প্রকৃতিকে করে তুলেছে অপরুপ। গোলাপী আর সাদা রঙের পদ্মফুল মানুষকে মোহিত করছে। এই বিলের সৌন্দর্য দেখার জন্য প্রতিদিনই বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন। যে যার মতো করে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন আর সেলফিতে বন্দি করে রাখেন নিজেদের।
পদ্ম বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা আসাদ বলেন, প্রতিবছরে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে পদ্ম বিল ঘুরতে আসি। এ বিলের সৌন্দযর্ দেখার মতো। এখানে ঘুরতে আসলে মন ভালো হয়ে যায়।
স্থানীয় কয়েকজন শিশু-কিশোর এই বিলের পদ্মফুল দর্শনার্থীদের কাছে বিক্রি করে বাড়তি খিছু আয়ও করছেন। পদ্মফুল বিক্রেতা স্থানীয় দুই শিশু নয়ন ও মুক্তা বলে, আমরা প্রতিদিন চারশত থেকে পাঁচশত টাকার ফুল বিক্রি করি। এই ফুল ফুটলে আমাদের দিন ভালো যায়। আমাদের স্কুলের খাতা, কলম, জামাকাপড় কিনতে সুবিধা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএম