বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে দুই দিন ধরে অনশনে বসেছেন চাচি রুমানা আক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কালিশ পুনাইল গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, অনশনে থাকা ওই নারী দুই সন্তানের জননী। শুক্রবার তাকে মারধর করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে ওই নারী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রমাণ নষ্ট করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে অভিযুক্ত রানা ও তার পরিবার।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে রানার বাড়িতে অনশন করছেন ওই নারী। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীকে দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ।
রফিকুল ইসলাম রানা (৩২) উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের মনসুর হোসেনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম রানা তার চাচি দুই সন্তানের জননী রুমানা আক্তারের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। চাচি ও ভাতিজার প্রেমের খবর জানাজানি হলে গত ৪ বছর আগে রুমানা ও তার স্বামীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বিচ্ছেদের ৪ বছর পর দুই সন্তানের জননী রুমানা বিয়ের দাবিতে ভাতিজা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এ ঘটনায় ভাতিজা রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
অনশনরত নারী রুমানা আক্তার জানান, গত ৪ বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বগুড়া শহরে ও নন্দীগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়।
ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। একজন নারী বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম