বারবার জায়গা পরিবর্তন করে ১০ দিন পালিয়ে ছিলেন কুষ্টিয়ার খোকসায় ৪ কিশোরীকে চাপা দেওয়া মাইক্রো চালক কাবের আলী। আগে দুবার অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয় র্যাব। অবশেষে তৃতীয়বারের চেষ্টায় মেহেরপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করতে পেরেছে কুষ্টিয়া র্যাব।
র্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বুধবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে চালক কাবেরকে গ্রেফতারের খবর জানান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ঈদগাহপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাইক্রোবাস চালক মোঃ কাবের আলী (২৮) চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আমতৈল গ্রামের মোঃ সারোয়ার উদ্দিনের ছেলে। তাকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌড়হাস হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের খোকসা শিমুলিয়ায় স্থানীয় মক্তব থেকে কোরআন পড়া শেষে বাড়ি ফেরার সময় ৫ কিশোরীকে চাপা দিয়ে মাইক্রো চালক কাবের পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মিম খাতুন (১২) নামের একজন নিহত হয়। তানজিলা আক্তার (১৪), মারিয়া খাতুন (১১) ও যুথী খাতুন (৯) হাসপাতালে মারা যান। আর ফাতেমা খাতুন (৯) আহতাবস্থায় এখনো চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের এএসআই মশিউর রহমান খোকসা থানায় মামলা (নং ১০) করেন। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮, ১০৫ ধারায় দ্রুত গাড়ী চালিয়ে দুর্ঘটনা সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয় চালক কাবেরের বিরুদ্ধে।
র্যাব জানিয়েছে, পলাতক মাইক্রোবাস চালককে গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেন তারা। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে বারবার জায়গা পরিবর্তন করে সে। এ কারণে তাকে ধরতে র্যাবের দুটি অভিযান ব্যর্থ হয়। র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে তৃতীয় প্রচেষ্টায় সিপিসি-১ (কুষ্টিয়া), র্যাব-১২ এর একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেফতারে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত চালক কাবের আলী র্যাবকে জানিয়েছেন, সেদিন দীর্ঘ গাড়ি চালানোতে ক্লান্তি ও ঘুমভাব ছিলো তার চোখে। আর হঠাৎ দুটি মেয়ে সড়কের ওপরে চলে আসায় তিনি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন নি। ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী বিদেশ ফেরত যাত্রী নিয়ে তিনি সেসময় ৯০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিতে যাচ্ছিলেন। মাইক্রোবাসটির নং ঢাকা মেট্রো চ-১৫-৮৭৬৮।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ