বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বণগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন দাস গত ৫ আগষ্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর থেকে ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানও ইউনিয়ন পরিষদ ত্যাগ করেছেন। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। তিনি কোথায় আছেন তা কারো জানা নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও কেউ তথ্য দিতে পারেননি।
এর ফলে বণগ্রাম ইউনিয়নের শতশত লোক দুই মাসের অধীক সময় ধরে পরিষদ থেকে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। ট্রেড লাইসেন্স, ওয়ারিশ কায়েম সনদ ও মৎস্যজীবীদের চাল বিতরণসহ বেশকিছু জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে পরিষদের সচিব ও কয়েকজন মেম্বার জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য চেয়ারম্যান রিপন দাসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরিষদের সচিব মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর থেকে চেয়ারম্যান পরিষদে আসেন না। প্যানেল চেয়ারম্যান সাধন চক্রবর্তী বলেন, চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় পরিষদের কার্যক্রম স্থবির প্রায়। মৎস্যজীবীদের গত আগষ্ট মাসের চাল এখনো বিতরণ করা যায়নি।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদরুদ্দোজা বলেন, কিছুদিন পূর্বে এ উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা সকল চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করেছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। বণগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে। গত ৫ আগষ্টের পরে পৌরসভা, তেলিগাতী ও পঞ্চকরণ ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। অপর ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে অধীকাংশ পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়মিত পরিষদে গেলেও বণগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিখোঁজ নয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল